আজ শুক্রবার ৩ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

খাগড়াছড়িতে কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটসের বাজার অভিযান

মোবারক হোসেন, খাগড়াছড়ি: | প্রকাশের সময় : শনিবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৪২:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ (সিআরবি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার উদ্যোগে খাগড়াছড়ি বাজারে সচেতনতা মূলক প্রচারাভিযান ও বাজারদর মনিটরিং করা হয়েছে।

 

৩০ ডিসেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা মুদি মাল দোকান ও আড়তে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

এসময় কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ (সিআরবি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার উপদেষ্টা ধীমান খীসা, জেলা সভাপতি এটিএম রাশেদ উদ্দিন, সহ-সভাপতি বিনোদন ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রউফ, প্রচার সম্পাদক শিমুল দাশ, খাগড়াছড়ি ব্যবসায়ী বাজার সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন, খাগড়াছড়ি বাজার মুদি দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তপন কান্তি দেব, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রচারাভিযান ও বাজারদর মনিটরিংয়ে নেতৃত্ব দেন সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রউফ। তিনি বলেন, 'খাগড়াছড়িতে ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা নেই। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করা হলেও তা খুবই কম। এ অবস্থায় বাজারে ব্যবসায়ীদের দৌড়াত্ম বেড়েছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। ব্যবসায়ীরা যেকোনো পন্যের মূল্য নিয়ে যেন কারসাজি করতে না পারে সেজন্য আজকে আমরা কনজিউমার রাইটস 'সিআরবি)র উদ্যোগে বাজারে সচেতনতা মূলক প্রচারাভিযান ও বাজারদর মনিটরিং করেছি।

 

বাজারদর মনিটরিংয়ে আমরা একেক দোকানে একেক ধরনের মূল্য দেখতে পেয়েছি। একটি দোকানে দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা পেয়েছি, আবার আরেকটি দোকানে সে একই পেঁয়াজ ১৩০টাকা পেয়েছি। মাত্র ২০০ মিটার জায়গার ব্যবধানে পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ৬০টাকা অতিরিক্ত মূল্য রাখা হচ্ছে। কিছু দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ পন্য পেয়েছি। তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে জেলা প্রশাসনের মিটিংয়ে আমারা আজকের অভিযান নিয়ে একটি সুপারিশ মালা জমা দেব।'

 

সিআরবি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি এটিএম রাশেদ উদ্দিন বলেন, 'আমরা সবাই ভোক্তা। ন্যায্য মূল্যে বিশুদ্ধ পন্য পাওয়ার অধিকার আমাদের সবার রয়েছে। কিছু কিছু ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে পন্য বিক্রি করছে। যা ভোক্তাদের জন্য কষ্টের। অভিযানে আমরা বিভিন্ন পন্যের যাচাই-বাছাই করেছি। যেসব দোকানে অনিয়ম পেয়েছি তাদেরকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।'