আজ রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১

উন্নয়নে নামে চলছে বিশাল পাহাড় কাটার মহোৎসব''

অসীম রায় বান্দরবান : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:১৩:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড় ও টিলা কর্তন অনুমতি না থাকলেও ক্ষমতার দাপটে কিংবা উন্নয়নের দোহাই নামে চলছে পাহাড় কাটা মহোৎসব। এসব মহল কোন আইন না মেনে নিজ সেচ্ছায় চলছে বিশাল পাহাড় কেটে সুবিধা হাসিল করছে। এসব রাঘব-বোয়াল পরিবেশ মারাত্মক বিপর্যয় দেখেও কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে রাজি হয়নি৷ শেষমেস বিশাল পাহাড় কেটে এবারও তার পারিবারিক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার সুবাদে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মো, আইয়ু নামে। কাজটি পায় এস এম এন্টারপ্রাইজ লাইসেন্সে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তিনি দাবি করেন, আমার বাগানে রাস্তা যাওয়ার জন্য বিশাল পাহাড় কাটলেও সমতলের প্রচেষ্টায় কিসের পরিবেশন আইন দরকার! সরেজমিনে দেখা যায়, নীলাচল কেন্দ্রিক টাইগার পাড়া নামক স্থানে কয়েকদিন ধরে ঝিড়ি থেকে প্রায় ৭০-৯০ ফুট উচুঁতে মাটি কাটা স্কেভেটর (ভারি যন্ত্র) দিয়ে শুরু হয়েছে পাহাড় কাটা। আবার সেই পাহাড়ের মাটি যত্রতত্র ভাবে অন্যত্র স্থানে সড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। চারদিকে পাহাড় কেটে সাবাড় করে ফেলেছেন ভুট্টো নামে স্কেভেটর মালিক। তার বিশাল পাহাড় ধ্বংসযজ্ঞ বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এসব থেকে না-কি তিনি আয় রোজগার করে থাকেন। আরও জানা গেছে, জায়গা মালিক মো, আইয়ুব তাঁর জোরে এলাকাবাসী কথা রাজি হয়নি। পূর্বপুরুষের ক্ষমতার সঞ্চয় করে জায়গার মালিক নাম মো, আইয়ুব জিম্মি করে রেখেছে তাদের। সেই সুবাধে তার বাগানে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নিচ্ছেন বিশাল পাহাড় কাটার দ্বায়িত্ব। ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলেন, জিম্মি করে রেখেছে কারবারি থেকে শুরু করে সব মহল্লায়। তাদের ক্ষমতা আর জোর দিনভর করছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। নামে উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করার হচ্ছে এই পরিবেশ ধ্বংসযজ্ঞে মহাকান্ড। কাকে বলব, বললে তো বিপদ! বিচার কার কাছে দেবো। দিনদিন পাহাড় তো শেষ হয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের নামে যা হোক না কেন, পাহাড় কে আমরা পাহাড় হতে চাই! স্কেটভেটর মালিক প্রতিবেদকে ভুট্টা বলেন, ভাই কেন নিউজ লিখবেন। আপনাদের সাথে দেখা করবো তো। নিজেকে গাঁ জন্য তিনি বলেন, পাহাড় কাটা ছাড়পত্র নাি। তবে উন্নয়নের কাজ করতে গেলে পাহাড় কাটতে হবে। ভাই কালকে দেখা করি। টাইগার পাড়া গ্রামপ্রধান (কারবারী) বীর কুমার তংচঙ্গ্যা বলেন, পাহাড় কাঁটতেছে এমন নাম জেনেও বলতে পারি নাই। পাড়াবাসী থেমে শুনেছি তিনি নাকি সাবেক সেনা কর্মকর্তা আইয়ুব। পাহাড় কেটে সাবার করলেও স্থানীয়রা ভয়ে চুপ থাকতে হচ্ছে। এছাড়াও তিনি অধিকাংশ জমি দখলে নিয়ে রেখেছেন তিনি। বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী -পরিচালক ফখর উদ্দিন জানান, পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড় কাটার বিষয়ে আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যে কেউ চাইলে নিজের স্বার্থে পরিবেশের ক্ষতি করে পাহাড় কাটতে পারে না। যদি কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান এমন কাজ করে থাকে তাহলে অবশ্যই আইন মেনে তা করবে। সরজমিনে পরিদর্শন পূর্বক আইনগতভাবে ব্যাবস্থা গ্রহণের কথা জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।