আজ রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১

আলীকদমের প্রবীণ সাংবাদিক উচ্চত মনি তঞ্চঙ্গ্যা আর নেই

সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ, আলীকদম (বান্দরবান) : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১৬ জুলাই ২০২৪ ০৬:৪৫:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

বান্দরবানের আলীকদম প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রবীণ ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক উচ্চতমনি তঞ্চঙ্গ্যা (৫৭) আর নেই। গত বুধবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক ১ টা ৫৫ মিনিটে তিনি আলীকদম  উপজেলা সদরের ভারত মোহন কারবারি পাড়ায় নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। 

 

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইজ হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন। গত সপ্তাহে তার ডায়রিয়া হয়। পরে জ¦রে আক্রান্ত হন। বুধবার দিবাগত রাতে তিনি পরপারে পাড়ি দেন। মৃত্যুকালে তিনি ১ ছেলে ৩ মেয়ে এবং স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।

 

পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার (১৭ জুলাই) স্থানীয় মহলু কার্বারী পাড়া শ্মশানে তার সৎকার করা হবে। 

 

  উচ্চতমনি তঞ্চঙ্গ্যা আশির দশকে আলীকদমে সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। আশির দশকের শুরুর দিকে তিনি দৈনিক গিরিদর্পন, দৈনিক নতুন বাংলাদেশ, দৈনিক যুগরবি-সহ প্রভৃতি পত্রিকায় আলীকদম উপজেলা থেকে সংবাদ পাঠানো শুরু করেন। এ সময় তিনি মাঠ সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। 

 

১৯৮২ সালে নবগঠিত আলীকদম উপজেলা থেকে ‘পাহাড়িকা গুঞ্জন’ নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেন। ২০১২ সালে ‘ম্যারাইনতং’ এবং পরে ‘শৈল ঝর্ণা’ নামে দু’টি ম্যাগাজিনও সম্পাদনা করেন। 

 

১৯৯৮ সালে আলীকদম প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠালগ্নের সদস্য ছিলেন তিনি। আমৃত্যু তিনি প্রেসক্লাবের সদস্য হিসেবে যুক্ত ছিলেন। শেষের দিকে তিনি নির্দ্ধিষ্ট কোনো পত্রিকায় যুক্ত না থাকলেও ফ্রিল্যান্সিং সাংবাদিকতা করতেন। 

 

তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ  থেকে রোগ-শোক ভোগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতে রিক্ত-নিঃস্ব অবস্থায় অনেকটা বিনা চিকিৎসায় দিন কাটিয়েছেন। চিকিৎসার অভাবে তিনি প্যারালাইজড হয়ে ছিলেন বেশ কয়েক বছর। জীবন যুদ্ধে পিছিয়ে পড়া ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ছিলেন উচ্চতমনি তঞ্চঙ্গ্যা।

 

এদিকে, তাঁর মৃত্যুতে আলীকদমে সাংবাদিকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, আলীকদম প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ, রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি শুভরঞ্জন বড়–য়াসহ স্থানীয় সাংবাদিক সতীর্থগণ। তারা শোক জানাতে মঙ্গলবার সকালে উচ্চতমনির বাড়ি যান এবং শোক-সন্তÍপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।