‘রহস্য উন্মোচনে বিজ্ঞান’ প্রতিপাদ্যে আলোকে আলীকদম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা। মেলার স্টলগুলোতে শোভা পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের আবিস্কারের নানা প্রজেক্ট।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হয় এই মেলা। বিজ্ঞান মেলায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্টলগুলি ঘুরে দেখেছেন আলীকদম জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল শওকাতুল মোনায়েম, পিএসসি, আলীকদম ব্যাটালিয়নের (৫৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আকিব জাভেদ, পিএসসি, আলীকদম ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মেজর মোঃ শেহের আলী হায়দার ও আলীকদম প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অথিতিরা তাঁরা জানিয়োছেন,মেলায় শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট বিভিন্ন প্রজেক্টের মাধ্যমে আবিস্কারের ধারণাটি যে কাউকে অভিভূত করবে।’ অত্যাধুনিক ফিউচার টেকনিক্যাল সিটি থেকে শুরু করে ওয়েস্টেজ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট পর্যন্ত সর্বমোট ৫০টি প্রজেক্টের মাধ্যমে অনন্য সাধারণ রূপকল্প তৈরী করেছে প্রতিষ্ঠানটির কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার আবিস্কার মেলায় স্থান পেয়েছে। ছোট ছোট স্টল দিয়ে দারূণসব আয়োজনে সাজানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিশাল হলরূমটি। স্টলগুলোতে নিজেদের আবিস্কার নিয়ে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা তাদের আবিস্কারের সুফল ভাবে তুলে ধরছে।
মেলার তারহীন বিদ্যুৎ সার্ভিসের আবিস্কারক ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাবসিং চাকমা জানালো, শহরে- নগরে তারযুক্ত বিদ্যুৎ লাইনের ফলে নানান ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় তারা তারহীন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রবাহের প্রজেক্টটি তৈরী করেছে।
আরেক শিক্ষার্থী জানালো, জ্বালানী ছাড়াই শুধুমাত্র সূর্যের আলো দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব। সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদনে করতে জ্বালানীর প্রয়োজন নেই। তাই কার্বনডাই অক্সাইড নিঃসরণের ঝুঁকিও নেই। এতে পরিবেশ দূষিত হয় না। এ কারণেই তাদের এই আবিস্কার।
অনেক প্রজেক্ট ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সোলার ব্যবহারের প্রতি মানুষকে আগ্রহী করার জন্য বিভিন্ন রূপকল্প তুলে ধরেছে। এসব প্রজেক্টে সোলার বিদ্যুতের ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে ঘরবাড়িসহ সবুজ নগরায়নের দৃশ্য সাজানো হয়েছে। যা খুবই দৃষ্টিনন্দন।
আলীকদম ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মেজর মোঃ শেহের আলী হায়দার বলেন, প্রথমবারের মতো এ বছরই তাঁরা বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করেছেন। প্রতিবছরই শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে এ ধরণের বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হবে বলে তিনি আশাবাদী। এ ধরণের পরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের প্রতি উৎসাহিত হবে এবং একদিন সত্যিকারের বিজ্ঞানী তৈরী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।