“সবার মাঝে ঐক্য গড়ি নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করি"- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক নারী প্রতিরোধ পক্ষের সমাপ্তি এবং বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে ৯ই ডিসেম্বর শুক্রবার জেলা প্রশাসক, বান্দরবানের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও জেলা পর্যায়ের ২০২২ সালের জয়ীতাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ আলোচনা অনুষ্ঠান এবং জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, জেলাপ্রশাসক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ তারিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার, বান্দরবান এবং সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুরাইয়া আক্তার সুইটি।জেলা প্রশাসন ,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থা বান্দরবান কর্তৃক এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা; জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ , প্রেস ক্লাবের সভাপতি, সুধীজন, শিক্ষার্থীগণ এবং সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলাপ্রশাসক বলেন,বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও নারী শিক্ষার প্রসারে তার অবদান আমাদের নারী সমাজের অগ্রযাত্রায় এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি এ জেলায় নির্বাচিত ০৪ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের পুরষ্কার ও সনদ বিতরণ করেন।
রোকেয়া এখনো বর্তমান
রোকেয়া নারীর মুক্তি চেয়েছেন এবং সে লক্ষ্যে
সমাজে যে যে কাজ করা দরকার তা করেছেন,
কিন্তু কৌশলের দিন মনে রেখেছেন সব সময়।
তিনি নিজেকে সমাজের বাইরে বা সমাজের উর্ধ্বে স্থাপন করেনি,ফলে নারীবাদী আত্নম্ভরিতার চেয়েও সমাজের সংস্কার কীভাবে
করা যায় সেই দিকে নজর রেখেছেন।
একালের ফেমিনিস্টরা রোকেয়ার কৌশল ''-এর
তাৎপর্য বুঝতে পারলে ব্যক্তি ও সমাজের সন্পর্কের টানাপড়েন মোকাবিলার গুরুত্ব ভালো বুঝতে পারবেন। নারীবাদ আর ব্যক্তিতান্তিকতায় একাকার হয়ে যাবার বিপদ থেকে কীভাবে রক্ষা পেতে হয় রোকেয়া সেই শিক্ষা আমাদের দিয়েছেন।