পানছড়িতে ৪ নেতা হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের ডাকে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ পালিত হয়েছে। অবরোধের সমর্থনে বিভিন্ন সড়কে পিকেটিং করছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অবরোধের কারণে খাগড়াছড়িতে আভ্যন্তরীণ দূরপাল্লা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া না গেলেও রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পর্যটকবাহী গাড়িতে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার সকালে দীঘিনালা-সাজেক সড়কের শুকনাছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সড়কে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
জানা যায়, ৪ নেতা হত্যার প্রতিবাদে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের ডাকে দিনব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়েছে। এছাড়াও হত্যাকান্ডে প্রতিবাদে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে মাসব্যাপী পানছড়ি বাজার বর্জন কর্মসূচি পালন করছে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ। ফলে পানছড়ি বাজারে আসছে না পাহাড়িরা।
এদিকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটকবাহী গাড়িতে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছে সন্ত্রাসীরা। সকালে দীঘিনালা-সাজেক সড়কের শুকনাছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউপিডিফ’র ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হচ্ছে। হরতালের মধ্যে পর্যটকবাহী গাড়ি খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক যাওয়ার পথিমধ্যে সন্ত্রাসীরা গাড়িটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এসময় পিকেটিংকালে সন্ত্রাসীরা পর্যটকবাহী একটি মাহেন্দ্র, একটি পিকআপ এবং প্রাইভেটকার ভাংচুর করে। রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।
গত ১১ ডিসেম্বর সোমবার রাত ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম সীমান্ত এলাকার পাহাড়ি জনপদ পুজগাং এর অনিলপাড়া এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা। সন্ত্রাসীরা আরো ৩ জনকে ধরে নিয়ে য়ায়। পরে অপহৃতদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।