বান্দরবানের লামায় জসিম উদ্দিন কর্তৃক বিবাহ করে দীর্ঘ ০৬ বছর দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করার পর বিবাহ অস্বীকার করে প্রতারণা এবং বিভিন্ন হয়রানীর প্রতিবাদে রিজিয়া বেগম নামে এক অসহায় নারী স্বামী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।০৯ জানুয়ারি মঙ্গল বার সকালে লামা প্রেসক্লাব হলরুমে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।লিখিত বক্তব্যে রিজিয়া বেগম জানান,আমি একজন অসহায় নারী। জীবন জীবিকার তাগিদে গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে দিন যাপন করি। আমাকে পছন্দ করে ৬ বছর আগে জসিম উদ্দিন, পিতা- আবু ছৈয়দ, মাতা- আনোয়ারা বেগম, সাং-
মাইজঘোনা, ০৫নং ওয়ার্ড,ইউনিয়ন+ডাকঘর- সাহারবিল, উপজেলা- চকরিয়া, জেলা- কক্সবাজার গত
০৭/০৫/২০১৮ইং তারিখে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ করে। বিবাহের দেনমোহর ২,০০,০০০/- (দুই
লক্ষ) টাকা । আমি এবং জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করে আসছি।
আমি অন্তস্বত্ত্বা হলে গত ০৪/১০/২০১৯ ইং তারিখে মোঃ জসিম উদ্দিন জোর করে Chittagogn Helth point Hospital Ltd এ নিয়ে গিয়ে আমার গর্ভপাত ঘটায়। জসিম উদ্দিন গাড়ী ক্রয়ের কথা বলে আমার নিকট থেকে ৮০,০০০/- (আশি হাজার) টাকা নগদ গ্রহণ করে। কিছুদিন যেতে না যেতেই জসিম উদ্দিন পূনঃরায় আমার নিকট
থেকে যৌতুকের দাবীতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। এমন অবস্থায় গত ২২ মাস ধরে সে আমাকে কোন ধরনের ভরনপোষণ না দিয়ে যৌতুকের দাবীতে তার ঘর থেকে আমাকে তাড়াইয়া দেয়। তার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করার জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে।আমি তার কাছে নিগৃহীত ও শারীরিক এবং মানসিক ভাবে লাঞ্চনার স্বীকার হয়ে বিজ্ঞ পারিবারিক (সিনিয়র সহকারী) জজ আদালত, চকরিয়া, কক্সবাজার এ পারিবারিক মামলা নং- ১৪৪/২০২৩ইং
দায়ের করি। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। এদিকে জসিম উদ্দিন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিবাহকে অস্বীকার করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, চকরিয়া, কক্সবাজার এ একটি কাউন্টার মামলা হিসেবে সি.আর-২৯৪০/২০২৩ দায়ের করে। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি, কক্সবাজার এ তদন্তাধীন রয়েছে।
আমি একজন মুসলিম নারী হিসেবে ইসলামী শরীয়তের বিধান অনুযায়ী জসিম উদ্দিন এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ
হয়েছি। লামা পৌরসভার নিকাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রার এর মাধ্যমে বিবাহ রেজিষ্ট্রি করিয়াছি। দীর্ঘদিন দাম্পত্য
জীবন ও সংসার করার পর জসিম উদ্দিন বর্তমানে বিবাহকে অস্বীকার করিতেছে। জসিম উদ্দিন আমার গর্ভের
সন্তানকে গর্ভপাত ঘটাইয়াছে। গর্ভপাত ঘটানোর যাবতীয় প্রমাণাদি আমার কাছে রক্ষিত আছে। সে বর্তমানে আমার
বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের কুৎসা রটনা করিতেছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।