আজ বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১লা কার্তিক ১৪৩১

লামায় ক্ষতিগ্রস্থ এক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

বেলাল আহমদ, লামা : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:২৪:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের কম্পনিয়া এলাকায় খতিয়ানভুক্ত জায়গা জবরদখল, সৃজিত বাগানের কয়েক লক্ষ টাকার গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া, জোরপূর্বক পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি ও নির্মাণ সামগ্রী লুটপাটের ঘটনার মূলহোতা এবং বিগত সরকারের প্রেতাত্মা মো. নাছির উদ্দিন মেম্বার ও তার সহযোগী মো. ইয়াছিন মাষ্টারের বিরুদ্ধে (১৬ অক্টোবর) বুধবার সকাল ১১.টায় লামা প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ এক পরিবারের লোকজন।

 

 লিখিত বক্তব্যে মোঃ রফিক জানান,আমি ও জসিম উদ্দিনের নামে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের কম্পনিয়া এলাকায় খতিয়ান নং ৩৮ এবং আর হোল্ডিং ১৫০৭ মূলে ৭.০০ একর জায়গা সরকারীভাবে রেকর্ডভুক্ত আছে এবং দীর্ঘদিন হয়ে সেই জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা সৃজন করে ও বাগানবাড়ি করে ভোগদখলে আছি। আমাদের উক্ত জায়গার উপর কম্পনিয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। আমাদের জায়গায় জোরপূর্বক স্কুল স্থাপন করলেও এলাকার স্বার্থে এবং শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে বিষয়টি আমরা মেনে নেই। ভূমি রেকর্ডপত্র ও দীর্ঘদিনের ভোগদখলের সূত্রে এই জায়গার মালিক আমরা। কিন্তু উক্ত এলাকার ওয়ার্ড মেম্বার মো. নাছির উদ্দিন এবং তার সহযোগী মো. ইয়াছিন মাষ্টার কোনভাবে আমাদের নামীয় জায়গা স্বীকার না করে নিজেকে বিগত সরকারের নেতা দাবী করে লোকজন ও পেশীশক্তি ব্যবহার করে আমাদেরকে বিভিন্ন হয়রাণী ও নির্যাতন করে আসছে।সম্প্রতি সময়ে ওয়ার্ড মেম্বার মো. নাছির উদ্দিন এবং তার সহযোগী ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. ইয়াছিন 'কম্পনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের' পাশ ঘেঁষে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কাটা হলেও দেখার কেউ নাই। স্কুলে পাশঘেঁষে অন্তত ২৫ ফুট উচু করে মাটি কাটায়, ঝুঁকিতে পড়েছে স্কুল ভবনটি। স্কুলের পশ্চিম পাশের পাহাড় থেকে কমপক্ষে ৫শত গাড়ি মাটি কেটে নিয়ে গেছে। ২৫ থেকে ৩০ ফুট উচু করে কাটা হয়েছে পাহাড়টি। যে কোন পাহাড় ধসে স্কুলের উপর পড়ে, ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

 

এছাড়া এই জায়গা থেকে আমাদের লাগানো কয়েক লক্ষ টাকার গাছ দিনে দুপুরে কেটে নিয়ে গেছে। এইসব নিয়ে কথা বলায় নাছির মেম্বার বিগত সরকারের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা হওয়ায় আমাদের নানাভাবে হয়রাণী করে যাচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর ও লামা থানাকে অনেকবার অবহিত করেছি কোন প্রতিকার পায়নি। উক্ত জায়গায় ভবন নির্মাণের জন্য আমরা ৮ হাজার ইট ও কিছু মালামাল এনে রাখি। রাতের আধাঁরে এইসব মালামাল নিয়ে যায় নাছির মেম্বার। ওই এলাকার সে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস করছেনা। মূলত স্কুলকে পুঁজি করে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি, গাছ লুটপাট করছে।

তাই আমরা ক্ষতিগ্রস্থ জায়গার মালিকরা আমাদের উপর ঘটে যাওয়া বিভিন্ন নির্যাতন ও হয়রাণীর বিষয়ে সাংবাদিক সমাজের মাধ্যমে সহযোগিতা কামনা করছি।

বিষয়ে জানাতে চাইলে সরই ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস কোং বলেন নাছির মেম্বার ৩০টির মত গাছ নিয়ে গেছে বলে শুনেছি স্কুলের নামে কোন জায়গার কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি মালিক পক্ষ  স্কুলের জন্য ২০ শতক জায়গা দিতে রাজি হয়েছে।