রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের একমাত্র শহীদ মিনারটি সংস্কার করে প্রসংসায় ভাসছেন রামুর সদ্য বিদায়ী ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা স্বর্ণা। ওই শহীদ মিনারটি দীর্ঘদিন পড়ে ছিলো অযত্ন-অবহেলায়। যার ফলে মিনার প্রাঙ্গন হয়ে পড়েছিল শ্রী হীন। এ শহীদ মিনারটি সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন করে দেওয়ার জন্য রামু উপজেলার সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাহমিদা মুস্তফার কাছে আবেদন জানান গর্জনিয়ার পোয়াংগেরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উদীয়মান তরুণ হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী। সেই আবেদনে সাঁড়া দিয়ে সদ্য বিদায়ী রামুর ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা সম্প্রতি এটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে মাধ্যমে সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন করে দেন। এ কারণে স্থানীয়দের মনে খুশির সঞ্চার হয়েছে।
শহীদ মিনার সংস্কারের উদ্যোক্তা ও আবেদনকারী হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন- ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের এক গৌরবময় ইতিহাস। ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে জীবন দেয়া, সালাম, জব্বার, বরকত, রফিক ও শফিকদের স্মরণ করতে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের জনতা। এ ছাড়াও নানা জাতীয় দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন শহীদ মিনারটি শ্রী হীন ছিল। সেই বিষয়টি অনুধাবন করে সংস্কার ও দৃষ্টিনন্দন করার জন্য সদ্য বিদায়ী ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফাকে আবেদন করি। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই তা গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করে দেন। শহীদ মিনারের সৌন্দর্য করণে ভূমিকা রাখতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী।