খাগড়াছড়ির রামগড়ে গত ১৬ সেপ্টম্বর জনৈক জহর লাল ঘোষ কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারি নাথের বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবীর মিথ্যা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারি নাথ।
শনিবার ঘুষ দাবীর মিথ্যা অভিযোগ ছাড়াও জহর লাল ঘোষের ভূমি ও গুচ্ছ গ্রামের রেশনকার্ড আত্মসাৎ করার অশুভ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে জহর লালের বোন গীতা রানী সেনকে নিয়ে স্থানীয় গোধূলি রেস্তোরাঁয় বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনটি করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারি নাথ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি জহর লাল ঘোষ একটি সংবাদ সম্মেলনে ভূমি অফিসের সহযোগীতায় ঘুষের প্রসঙ্গে আমার সহযোগীতার অভিযোগ তুলেন। অভিযোগটি পুরোপুরি মিথ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জহরলাল বোন গীতা রানী ঘোষকে ওয়ারিশান থেকে বাদ দিয়ে পৌরসভার জগন্নাতপাড়াস্থ দশমিক ২০ শতক ভুমি নিজ নামে বন্দোবস্ত করে অন্যায় ভাবে তার স্ত্রীকে দান করতে অপচেষ্টা করে। একই সাথে পারিবারিক গুচ্ছগ্রাম রেশন কার্ড থেকে তার বোনকে বাদ দিয়ে স্ত্রী সন্তানদের ওয়ারিশ করেন। উল্লেখিত জালিয়াতির বিচার ও সম্পত্তির দাবী চেয়ে তার বোন ভূমি অফিস ও স্থানীয় হিন্দু নেতাদের নিকট বিচার দাবী করলে আমি সুষ্ঠ বিচারে সহযোগীতা করায় ভূমিদস্যু জহর লাল ঘোষ আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ঘুষ বানিজ্যর নামে ভুয়া অভিযোগ তুলে আমাকে দায়ী করেন। আমি মিথ্যা অভিযোগকারী জহর লাল ঘোষের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করছি।
তিনি আরো বলেন, হিন্দু নেতা হিসাবে বোনকে ওয়ারিশান থেকে বাদ দিয়ে ভূয়া বন্দোবস্তর বিরুদ্ধে তাদের কয়েকটি বিচারিক বৈঠকে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে মিথা অভিযোগ তুলে অথচ তার বোন নিজেই বাদী হয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভূমি অফিসে অভিযোগ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর উল্লেখিত বিষয়ে রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ভূমি বন্দোবস্ত ও স্ত্রীর নামে নামজারিতে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন জহর লাল ও তার স্ত্রী উমা রাণী ঘোষ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারী নাথকে ঘুষ কারবারে সহযোগীতার অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন জহর লাল।