কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া রাঙামাটি রাজস্থলী উপজেলার ১২টি ভোটকেন্দ্রে রবিবার সকাল ৮ টা হতে ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। সকাল হতে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের পাশাপাশি নারী ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে দুপুর ১২ টা ১৫ মিনিটে ৩ নং বাঙালহালিযা প্রাইমারী কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ৮০ বছর বয়সী রাহুল্য তংচংগ্যা নামে একজন ভোটার কেন্দ্রে ভোট দিতে আসছেন। তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জীবনের শেষ বয়সে এসে ভোট দিতে পেরে আনন্দ লাগছে।
এদিকে সকাল ৯ টা ২০ মিনিটে তাইতং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র গিয়ে দেখা যায়, মোটামুটি ভোটার উপস্থিতি আছে। এসময় কথা হয় ৭৬ বছর বয়সী পূর্ব তাইতং পাড়া এলাকার বাসিন্দা সানুপ্রূ মারমার সাথে। তিনি ভোট দিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন।
তাইতং পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজস্থলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে সকাল ১১ টা ২০ মিনিট এ গিয়ে বাঙালহালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র গিয়ে দেখা যায়, এখানে পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটারের উপস্থিতি বেশী। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাজেরুল ইসলাম বলেন, কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সকাল ৮ টা হতে ভোট গ্রহন চলছে।
এদিকে নৌকার প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের পক্ষে রাজস্থলীর বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উবাচ মারমা এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহন চলছে।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া বলেন, রাজস্থলী ১২টি ভোটকেন্দ্রে কাজ করছেন ১২ জন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার সহ ১৫৩ জন অফিসার কাজ করছেন।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্র বলছে, চুড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী রাজস্থলীতে মোট ভোটার ২০ হাজার ৫৫৬জন
এদিকে যোগাযোগ করা হলে রাজস্থলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইকুল ইসলাম, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আনছারুল হক এবং রাজস্থলী থানার ওসি ইকবাল হোসেন বলেন, কোন রকম সহিংসতা ছাড়া উৎসব মুখর পরিবেশে রাজস্থলীতে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে ।
রাজস্থলী উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন বলেন, নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতেই রাজস্থলী উপজেলায় ২ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজ করেছেন। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে সেনাবাহিনী এবং বিজিবির সদস্যরা মাঠে কাজ করেছেন। পাশাপাশি পুলিশ এর টহল দল ও সার্বক্ষনিক মাঠে টহল দিয়েছেন।