মিয়ামারের বিদ্রোহী আরকান আর্মির বেশ কয়েকটি আস্তানায় যুদ্ধ বিমান থেকে বোমা হামলা চালিয়েছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী এবং সে দেশের বিমানবাহিনীর সদস্যরা।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ভোর ৬ টা থেকে এই রিপোর্ট লিখার সময় সন্ধ্যা ৭টা পযর্ন্ত ।এ সময়ে বিদ্রোহী আরকান আর্মির বেশ কিছু সদ্যস আহত এবং নিহত হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র নিশ্চিত করেন,সীমান্ত পিলার ৪৫/৪৬/৪৭/ ৪৮ নম্বর এর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এ সব গোলার আওয়াজে মাটি কেঁপে উঠছে। আর এ কাঁপুনিতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের
ভাল্লুকখাইয়া এলাকায় কর্মরত রাবার শ্রমিকরা ভয়ে পালিয়ে এসেছে।
যাদের মধ্যে মনির আহমদ,মোস্তাক আহমদ ও এরশাদও রয়েছে। তারা জানান মিয়ানমার থেকে ১১ টার দিকে যুদ্ধ বিমান থেকে পরপর ৬ টি রকেট লঞ্চার অথবা বোমা নিক্ষেপ করে বিমান বাহিনীর সদস্যরা।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জামছড়ির ইউপি সদস্য মোঃ ছাবের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,তার এলাকাতে ভোর ৬টা থেকে বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ বিস্ফোরণের শব্দ আসতে থাকে মিয়ানমারের কিছুটা ভিতর থেকে,প্রথমে আসে মর্টারশেলের বিকট শব্দ তার পরে আসে কয়েক হাজার রাউন্ড গুলাগুলির আওয়াজ,এরপরে সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটের সময় মিয়ানমারের ভিতর থেকে আসা একটি যুদ্ধ বিমান থেকে পরপর ৬টির মত গুলা বর্ষণ করে ফিরে যায়,এতে সীমান্তের কাছে থাকা সাধারণ মানুষের মনে কিছুটা ভয় কাজ করছে বলে তিনি জানান।কথা হয় আমতলি মাঠের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ফরিদের সঙ্গে,তিনি বলেন,স্থানীয় জনসাধারণের মত তার মনেও কিছুটা অস্বস্তি কাজ করছে যেহেতু সীমান্তের কাছাকাছি থাকি,ভুলবসত যদি কিছু একটা এসে যায়? জামছড়ির সীমান্তের কাছাকাছি থাকা ব্যাবসায়ী মোঃ রহমান জানান,এমন গুলাগুলি এবং বিমান থেকে গুলা বর্ষনের আওয়াজে তার মনে আতঙ্ক কাজ করছে।