মহাকালের আবর্তে বিলীন হয়েছে ২০২২ সাল, স্বাগত নতুন বছর ২০২৩ সাল। বিশ্ববাসী জমকালো আয়োজনে বরণ করে নিলো নতুন বছরকে। মহামারি করোনার কারণে গত দু’বছর ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন করা না গেলেও এবারে সেই শঙ্কা কাটিয়ে পুরো উল্লাসে মেতেছে বিশ্ববাসী।
ঘড়ির কাঁটার সেকেন্ড ১২-তে পৌঁছা মাত্রই রঙিন আলোয় ভরে ওঠে আকাশ। ফানুস আর আতশবাজিতে মেতে ওঠে সবাই। প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র টোঙ্গা, সামোয়া ও কিরিবাসে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে নববর্ষ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
পৃথিবীর একেক প্রান্তে ঘড়ির কাঁটা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মধ্যরাত স্পর্শ করায় এরপর ২০২৩ সালকে স্বাগত জানানো হয় নিউজিল্যান্ডে। এ সময় অকল্যান্ড শহরে স্কাই টাওয়ার থেকে আতশবাজি পোড়ানো শুরু হয়। বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠান দেখতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন সেখানে।
লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার এলাকা ক্লক টাওয়ারে অবস্থিত সুবিশাল ঘণ্টার নাম হলো বিগ বেন। ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই বেজে ওঠে বিগ বেন। এ সময় প্রয়াত রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গান ফায়ার করা হয়।
এডিনবার্গে, শহরের বিশ্ববিখ্যাত হোগমানে পার্টিতে অংশ নিতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের অপেরা হাউস ও হারবার ব্রিজ এলাকায় ১০ মিনিট ধরে আতশবাজি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের নতুন বছর বরণে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন সেখানকার হাজার হাজার বাসিন্দা। এ ছাড়া বিশ্বের আরও অনেক দেশেই নানা আয়োজনে বরণ করা হয় ২০২৩ সালকে।
চলমান যুদ্ধের কারণে রাশিয়া ও ইউক্রেনে বর্ষবরণ উদযাপনের তেমন আয়োজন ছিল না এবার। এদিকে করোনাভাইরাস নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠায় চীন সরকারের পক্ষ থেকে এবার তেমন কোনো আয়োজন ছিলো না। তবুও ছোট পরিসরে বিভিন্ন শহরে থেমে নেই বর্ষবরণের উৎসব।