আজ মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বান্দরবানে হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে তিন সস্ত্রাসীর বেওয়ারীশ লাশ

এইচ এম সম্রাট, বান্দরবান : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০৬:০০:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

বান্দরবানে হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে সেনা বাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত তিন সস্ত্রাসীর লাশ। ময়না তদন্ত শেষে লাশ গুলোর কোন নাম পরিচয় বা আত্নীয় স্বজন  না আসায় বেওয়ারীশ হিসাবে মর্গে পড়ে আছে।

জানা যায়,বুধবার রাতে বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের বন্দুক যুদ্ধে জেএসএস এর তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ গুলো বান্দরবান সদর হাসপাতার মর্গে প্রেরন করে। শুক্রবার সকালে লাশ গুলোর ময়না তদন্ত শেষ হয়। কিন্তু লাশ গুলো কেউ গ্রহন করতে না আসায় পু্লিশ বেওয়ারীশ হিসাবে মর্গে ফেলে রাখে। 

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান, ময়নাতদন্তের জন্য নিহত ৩ সন্ত্রাসীর লাশ রুমা থানা থেকে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত সন্ত্রাসীদের নাম পরিচয় অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ করছে । ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

লাশ দাফনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু এখনো পর্যন্ত নিহতদের কোন ওয়ারিশ থানায় যোগাযোগ করে নাই, সেহেতু নিহতদের দাফনের বিষয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। 

এরআগে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টায় বান্দরবানের রুমা জোনের একটি টহল দল বথিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করার সময় পাহাড়ের জুম ঘরে ওৎ পেতে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলিবর্ষণ করতে থাকলে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি করে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর গুলিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর মূল দলের ৩ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এছাড়া পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের এলোপাথাড়ি গুলিতে মাথায় আঘাত পেয়েসেনাবাহিনীর টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং সৈনিক ফিরোজ ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎধীন রয়েছেন।