স্বাধিনতার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীরা বৈষম্যের স্বীকার হয়ে আসছে। বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান স্বাধিনতা লাভ করেছিল। ১৯৭১ সালে বাঙ্গালী জাতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীনের মাধ্যমে অধিকার আদায় করেছিলেন। আ'লীগের ১৫ বছর দু:শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৫আগষ্ট দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধিনতা লাভ করেছে। স্বাধিনতার ৫৪ বছর পর ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীরা বৈষম্যের স্বীকার। বাঙ্গালীদের প্রতি বৈষম্য দুর করে সাংবিধানিক সমান অধিকার নিশ্চিত করতে আরেকটি যুদ্ধের প্রয়োজন। গতকাল (২৭আগষ্ট) মঙ্গলবার দুপুর ১টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কতৃর্ক আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। বিশিষ্টি ব্যবসায়ী আবুল কাশেম সওদাগারের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো: মজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,আব্দুল কাদের,কামাল মেম্বার,আবুল বাশার,জাহাঙ্গীর আলম,মো: আলম,মো: শহীদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা আরো বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীরা সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ২য় শ্রেনীর নাগরিকে পরিনত করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে নতুন করে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে একটি কুচক্রী মহল। পশ্চিমা বিশ্বের ইন্ধনে স্থানীয় উপজাতীদের আদিবাসী স্বীকৃতি লাভের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে খৃষ্টান রাজ্য বানাতে চায়। পার্বত্য চট্টগ্রাম খৃষ্টান রাজ্যে পরিনত হলে স্থানীয় বাঙ্গালীদের বিতাড়িত করবে। সুতরাং উপজাতী কতৃর্ক আদিবাসী স্বীকৃতির প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সকল বাঙ্গারীদের ঐক্য বদ্ধ হয়ে প্রতিহত করতে হবে। ভবিষ্যতে বাঙ্গালী এবং পার্বত্যাঞ্চলের অস্তিত্ব রক্ষায় যে কোন কর্ম সুচীতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।