আজ আমাদের বিজয়ের দিন, বাঙালির চিরদিনের গৌরব। প্রতি বছর এই দিনে আমরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি নাম না- জানা লাখ লাখ মানুষের স্মৃতির উদ্দেশ্যে। '''এই বাংলায় তোমাকে আসতেই হবে হে স্বাধীনতা'''''' বর্ণাঢ্য আয়োজনে মধ্য দিয়ে বান্দরবানে পালিত হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ।১৯৭১ সালে এই দিনে দীর্ঘ মাস রক্তক্ষয়ী মরণপণ শেষে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল বীর বাঙালি। বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব বীর বাহাদুর উশৈসিং এম,পি'র নেতৃত্বে স্মরণকালের সেরা সমাবেশে উচ্চারিত হলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ। আজ ১৬ ই ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে থেকে বিকাল পযন্ত বান্দরবান জেলা ষ্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকাল হতে শহীদ মিনার ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল নিবেদনে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেই সাথে বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে ট্রাফিক মোড় হতে শহর জুড়ে সাইকেলিষ্ট মহড়া শুরু হয়। জেলা ষ্টেডিয়ামে জাতীয় সঙ্গীতে পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে প্যারেড অনুষ্ঠান শুরু হয়। জেলা পরিষদ ,জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন, আনসার, রেডক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে আগত শিক্ষার্থীরা ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্যারেড অনুষ্ঠানে অংশ নেন। পরে নৃত্য পরিবেশনা করেন বান্দরবান সরকারী , ম্রো আবাসিক, কোয়ান্টাম আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয় সহ আরো অনান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, বাংঙ্গালীর জাতির জীবনে সবচেয়ে গর্ব বিষয় অধ্যায়। বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিব শতবর্ষে এই মাহেন্দ্র বাংলাদেশ আজ স্ব গর্বে বিশ্বে বুকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে আছে। জাতির পিতাকে না পেলে আজ পেতাম না স্বাধীনতা বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে ১৬ ই ডিসেম্বর রচিত হয়েছে বাঙালির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাই । দুইশত বছর ব্রিটিশদের পরাধীনতা শৃঙখলে আবদ্ধ থেকে চব্বিশ বছর পাকিস্তানী শাসনগোষ্ঠিদের ধারা নির্দেশিত হয়ে বাঙালী জাতিকে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। সেই পথ ধরে বাংলার জনপদ দেশ মাতৃকার মুক্তি সংগ্রামী ঝাপিয়ে পড়েন এবং নয় মাসে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে মধ্য দিয়ে এক সাগর রক্তে বিনিময়ে বিজয় ছিনিয়ে নেয়। তাই আজ আমরা গর্বে সাথে ১৬ ডিসেম্বর এই পালন করছি। তিনি আরো বলেন, বিজয়ে দিনে মুজিব শতবর্ষে এই মহিমায়িত প্রতিটি স্থলে আমাদের জাতির জীবনে অনেক পাল্টিয়েছে। বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ২০০৮ সালে যে ডিজিটাল বাংলাদেশে ঘোষণা দিয়েছিলেন তা এখন সকলে হাতের নাগালে এখন একান্ত বাস্তব। সেই বাস্তবতাকে নিয়ে আমরা এগিয়ে চলছি। সব দেশকে ছাড়িয়ে এখন উন্নয়শীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। তাই এই বাংলাদেশ আর্থ সামাজিক সারাবিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোড মডেল হিসেবে স্বিকৃত পেয়েছি। তাই সকল শহীদ বুদ্ধিজীবি ও জাতির পিতা প্রতি শ্রদ্ধা জানান। দিবসটি উপলক্ষে বান্দরবান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম পিপিএম , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আক্তার সুইটি, সুপার কুদ্দুছ ফরাজী,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ,সিভিল সার্জন ডা: নিহার রঞ্জন নন্দী, বান্দরবান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর সহ সরকারী বেসরকারী উর্ধ্বতম কর্মকর্তা, স্কুল, কলেজ, সকল ছাত্র ছাত্রী ও প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ারসহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শেষে বিজয়ীদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা। এইদিকে আজ বিকাল ৫ ঘটিকায় জেলা ষ্টেডিয়ামে শপদ গ্রহন ও নিলাচলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির ইনষ্টিটিউটের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হবে।