১৩ ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বান্দরবান হোটেল এন্ড ওনার্স এসোসিয়েশন,-রেঁস্তোরা মালিক সমিতি ও মাইক্রোবাস, জীপ ও পিক আপ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষনা দেন। হোটেলে ৩০শতাংশ, গাড়ী ২০, খাবার রেস্টুরেন্টে ১০শতাংশ ছাড় ঘোষনা করা হয়েছে ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মূল্যছাড় বলবৎ থাকবে এবং পরবর্তী এই ছাড় সমিতি নেতৃবৃন্দের আলোচনা ক্রমে ডিসেম্বর মাস ব্যাপী হতে পারে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষনা দেন বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ। এছাড়া আগত পর্যটকদের জন্য প্রতি শুক্র ও শনিবারে স্থানীয় বিভিন্ন ১১জাতি গোষ্ঠির শিল্পিদের পরিবেশনায় সাংস্কতিক সন্ধ্যার আয়োজন থাকবে বলে ঘোষনা করা হয় সাংবাদিক সম্মেলনে। তিনি আরো বলেন বর্তমান সরকারের সুদুর প্রসারী পরিকল্পনায় ১৯৯৭সালে ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন করে অশান্ত পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্টা এবং ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে অনেকদুর এগিয়েছে। বিশেষ করে এখানকার স্থানীয় প্রশাসন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ,জেলা প্রশাসন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবানে আগত পর্যটকগণ যাতে নিরাপদ ভ্রমণ করতে পারেন এবং বান্দরবানের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে তার জন্য আন্তরিক প্রচেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন বান্দরবান জেলায় সরাসরি ১০হাজার মানুষ পর্যটন ব্যবসার উপর নির্ভরশীল এবং পর্যটন ব্যবসা বন্ধ থাকলে প্রতিমাসে ১০কোটি টাকা ক্ষতি হয় বলে জানান। সম্মানিত পর্যটকদের আকর্ষনীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ বান্দরবান ভ্রমনে উৎসাহিত করার জন্য এবং বহুল প্রচারের জন্য বান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করা হয়েছে সাংবাদিক সম্মেলনে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান হোটেল, মোটেল এন্ড রিসোর্ট ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি অমল কান্তি দাশ, রেঁস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি, গিয়াস উদ্দিন, মাষ্টার, মাইক্রেবাস, জীপ মালিক সমিতির সভাপতি নাছিরুল আলম, প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু,সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক প্রমূখ