নিজস্ব প্রতিবেদক :
বান্দরবানের লামায় সাঙ্গু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৪ জুন) বেলা ১টার দিকে বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এক সময় সাঙ্গু ভূমি দস্যুদের স্বর্গরাজ্য ছিল। সাধারণ মানুষকে প্রতি মুহূর্তে ভূমি হারানোর আতঙ্কে থাকতে হতো। পার্বত্য শান্তি চুক্তি হওয়ার ভূমিদস্যুদের দাপট কমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ নিরাপদে বসবাস করে আসছে। এখন বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য তৎপরতায় মানুষের মধ্যে উচ্ছেদ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
তারা জানান, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের গেজেট ১৯৯৬ সালে প্রথম দফায় পাঁচ হাজার ৭৬০ একর জমিতে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারি করে। সে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২০১০ সালে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের বন অধিশাখা ২ নম্বর স্মারককে বাস্তবায়ন করতে পুনরায় প্রজ্ঞাপন জারি করে।
বক্তারা আরও বলেন, ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি অনুযায়ী তিন পার্বত্য জেলাকে ভূমি ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে ৩৭৬টি মৌজা বা ইউনিটে বিভক্ত করা হয়েছে। ইউনিট প্রধান হিসেবে মৌজার হেডম্যান দায়িকত্ব পালন করেন। মৌজায় যে কোনো ধরণের ভূমি বন্দোবস্ত, ক্রয়-বিক্রয়, হস্তান্তর, ইজারা, সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও অভয়ারণ্য ঘোষণার পূর্বে হেডম্যানের পূর্বানুমতির আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সাঙ্গু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণার আগে হেডম্যানের মতামত গ্রহণ ও সাধারণ জনগণকে জানানো হয়নি।
এসময় সাঙ্গু মৌজা কারবারি (মৌজা প্রধান) চম্পট ম্রো, হ্লাথোয়াই হ্রি মার্মা, তনয়া ম্রো, উক্যমং মার্মা, চংপাত ম্রোসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।