টানা তিনদিনের ছুটিতে বান্দরবানে খালি নেই হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের কোনো কক্ষ। ১৬-১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব হোটেল-মোটেলের সব কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়রা জানান, পর্যটন নগরী বান্দরবানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। শীতে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ে কয়েকগুণ। এতে আবাসন সংকটে অনেককে রাস্তা ও গাড়িতে রাতযাপন করতে হয়।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। এতে খুশি আবাসিক হোটেলের এসব মালিক-কর্মচারীরাও। করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে প্রত্যাশা তাদের। হোটেল হিল ভিউ, হোটেল হিল্টন, হোটেল রিভার ভিউ ও হোটেল প্লাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ কক্ষ পরিপূর্ণ। বাকি কক্ষগুলোও অগ্রিম বুকিং নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বান্দরবানে পাঁচ হাজার পর্যটকের ধারণক্ষমতা থাকলেও ১৬-১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের কক্ষ খালি নেই। ভ্রমণপ্রত্যাশীরা এসব হোটেল-মোটেলের রুম অগ্রিম বরাদ্দ দিয়ে রেখেছেন।
এ বিষয়ে হোটেল রিভার ভিউর ম্যানেজার মো. ইমরান জানান, ১৬-১৮ ও ২২-২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব কক্ষ অগ্রিম বুকিং দেওয়া আছে। নতুন কারে রুম বুকিং দেওয়া সম্ভব নয়।
বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল হক জানান, পর্যটকদের নির্ভয়ে আনন্দ উপভোগ নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তৎপর।