বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে অষ্টম দফায় নিষেধাজ্ঞার সময় বৃদ্ধি করে আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে বান্দরবানের বর্তমানে অন্য পাঁচটি উপজেলা বান্দরবান থানচি, সদর, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
রোববার (২০ নভেম্বর) রাতে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত একটি গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর থেকে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, আলীকদম ও থানচি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়। এ সময় অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় প্রথমে গত ১৮ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। পরে গত ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত থানচি ও আলীকদম দুটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন। এরপর ৩০ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার সময় বাড়ানো হয়। গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ৪ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বান্দরবানের ৪ উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করা হয়। এ ছাড়া সর্বশেষ গত ৮ নভেম্বর বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৪ উপজেলা থেকে আলীকদম উপজেলাকে বাদ দিয়ে রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করে ১২ নভেম্বর।
এরপর ১২ নভেম্বর আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত রুমা, রোয়ংছড়ি এবং থানচি উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন। পরে ১৬ নভেম্বর ৭ম দফায় থানচি উপজেলার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে প্রশাসন এবং রুমা এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করেছিল ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। আজ সময় বাড়িয়ে আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে সাত দিনের জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত রুমা এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন।