মিয়ামারের অভ্যন্তরে বতর্মানে অশান্ত অবস্থা বিরাজ করছে, বিদ্রোহী আরকান আর্মি এবং মিয়ামারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে টানা যুদ্ধ চলে আসছে এই যুদ্ধের কারণে মিয়ানমার অভ্যন্তরে দুইপক্ষ এবং সাধারণ মানুষের জান মালের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে ব্যাপক ভাবে। বিগত সময়ে নাইক্ষ্যংছড়ি -মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার প্রায় এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ আধিপত্যের কারণে চলা যুদ্ধের প্রভাব এসে পড়েছিল নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায়। সম্প্রতি ঘুমধুম এলাকায় মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার ভিতরে থেকে আরকান আর্মি এবং জান্তা বাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে ব্যবহারিত অসংখ্য গুলি, রকেট লাঞ্চার, নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকার ভিতরে এসে সাধারণ মানুষ আহত এবং নিহতের মত ঘটনা ঘটেছে কয়েকবার । উক্ত ঘটনার পরে ঐ এলাকার মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল অন্যত্র,বন্ধ রাখা হয়েছিল কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আক্রান্ত উক্ত এলাকাতে জরুরী পরিদর্শনে আসেন সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। অপর দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জামছড়ি এলাকার বতর্মান ইউপি সদস্য মোঃ সাবের তার এলাকার জামছড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মিয়ানমারের ভিতর থেকে গুলি এসে তার কোমরে ঢুকে পড়ে,পরে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে অপারেশনের মাধ্যমে গুলি বের করা হয় তাতে তার বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন,তার সীমান্ত এলাকা পুরোপুরি শান্ত রয়েছে বেশ কিছু দিন পযর্ন্ত। ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ শফিক এবং মোঃ আলম জানান বতর্মানে সীমান্ত এলাকায় কোন সংঘর্ষের ঘটনা না থাকার কারণে সাধারণ জনগণ তাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বিঘ্নে। দৌছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইমরান জানান,তাদের সীমান্ত এলাকা একেবারে শান্ত বিগত কয়েক মাসের মধ্যে বড় কোন সংঘর্ষের প্রভাব তার এলাকায় আসেনি। উল্লেখ এই রিপোর্ট লেখা কালীন সময়,১৫ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ির কোন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে কোন প্রকার সংঘর্ষ বা গোলাগুলি,মর্টারশেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়নি।