নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কর্তৃক চোরাচালানী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ০৭টি বার্মিজ গরু, নগদ ১৯,৪৪,০০০/- (ঊনিশ লক্ষ চুয়াল্লিশ) টাকাসহ ০৩ জন আসামী আটক করা হয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধ ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সঠিক দিক নির্দেশনা, রিজিয়ন কমান্ডার ও সেক্টর কমান্ডারের অনুপ্রেরণা এবং ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৩ এপ্রিল ২০২৩ তারিখরাত ৮টার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর লেম্বুছড়ি বিওপি কর্তৃক চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৭টি বার্মিজ গরু, নগদ ১৯,৪৪,০০০/- (ঊনিশ লক্ষ চুয়াল্লিশ) টাকাসহ ৩ জন আসামীকে আটক করতে সক্ষম হন। উদ্ধারকৃত বার্মিজ গরুর আনুমানিক সিজার মূল্য- ৮,৪০,০০০/- (আট লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা । আটককৃত আসামী, নগদ টাকা এবং বার্মিজ গরু নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় সোপর্দ করে মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য, আটককৃত আসামীদের মধ্যে মোঃ ফরিদুল ইসলাম (৭৫), পিতা-মৃত মিয়া হোসেন, গ্রাম-দোছড়ি, পোষ্ট-গর্জনীয়া বাজার, থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার গরু পাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য। তার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী টাকা পার্শ্ববর্তীদেশে পাচার করা হচ্ছে। অন্য আসামীদের নাম- মোঃ আব্দুর রশিদ (৪৫), পিতা-মোঃ নুর আহম্মেদ, গ্রাম-তিতারপাড়া, ডাকঘর-গর্জনীয়া, থানা-নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা-বান্দরবান এবং মোঃ রাসেল (১৮), পিতা-মোক্তার, গ্রাম-দোছড়ি, ডাকঘর-দোছড়ি, থানা-নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা-বান্দরবান। বিজিবি কর্তৃক সীমান্ত পথে অবৈধভাবে গবাদিপশু চোরাচালানী কার্যক্রম কঠোর হস্তে দমন করা হবে। দেশের স্বার্থে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র মাদক ও চোরাচালান বিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।