আগের মত আতঙ্ক আর এখন নেই,তাই নাইক্ষ্যংছড়ি এবং মিয়ানমার সীমান্তে ফিরেছে আগেকার মত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্ষেত খামার এবং সীমান্ত সড়কের কাজ শুরু হয়ে গেছে আগেকার মত গতিতে। বতর্মানে আতঙ্ক উদ্বেগ উৎকণ্ঠার অবসান হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন থেকে শুরু করে দৌছড়ি ইউনিয়নের পাইনছড়ি পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার জুড়ে প্রায় তিন মাস ধরে চলেছে তুমুল উত্তেজনার পারদ। মিয়ানমারের সামান্য ভিতরে চলেছে আরকান আর্মি বনাম সে দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ উক্ত সংঘর্ষের জেরে আতঙ্ক উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ছিল নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষ। শনিবার সন্ধ্য ৭টা পযর্ন্ত গত ১৮দিনে কোন প্রকার গোলাগুলি এবং মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ বাংলাদেশের ভিতরে আসে নাই বলে জানান সীমান্ত এলাকার,রহমান,কালাম,ছৈয়দ নুর,ফরিদুল আলম সহ অনেকেই। ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু এলাকার সরোয়ার জানান আমরা এখন শান্তময় পরিবেশে বসবাস করছি, এক প্রকার আমরা ভুলেই যাচ্ছি গত কিছুদিন আগে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরকান আর্মির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান ৩৪,৩৫, এলাকা দিয়ে অনেক বার সীমানা ক্রস করে তমব্রু এলাকাতে এসেছে, এবং আর্টিলারি মটারশেল, ৪৭ এর গুলি আমাদের এলাতে এসে পড়াতে নিহত আহতের মত ঘটনা ঘটার পরে, রাতের পর রাত আমাদের ঘুম হারাম হয়েছে বহুরাত, ভয় এবং ভীতিতে ছিলাম আমরা বর্তমানে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাওয়াতে ভুলে যাচ্ছি আগের বিষয়গুলো। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন তার আওতাধীন সীমান্তে আতঙ্ক কেটে গেছে,আগেকার মত জনপদের মানুষ ক্ষেত খামারের কাজে ফিরেছে বলে তিনি জানান। সীমান্ত এলাকার কয়েকজন ব্যাক্তি জানান নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে শতাধিক ব্যাক্তি,১০ জন,২০ জন গ্রুপে গ্রুপে ভাগ হয়ে মিয়ানমারের ভিতরে গিয়ে সল্প দামে গরু ক্রয় করে স্থানীয় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন পাহাড়ে পথ ছড়া নালা ডিঙিয়ে শত শত গরু রাতের আঁধারে বাংলাদেশে নিয়ে আসছে এতে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। চোরাই পথে গরু আনতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই ঘটছে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা, জানা যায় মিয়ানমার কর্তৃক তাদের সীমানা এরিয়াতে শত শত স্থল মাইন পুতে রাখাতে গরু চোরাকারবারিরা সীমানা পেরিয়ে মিয়ানমারে প্রবেশ করার সময় পায়ের স্পর্শে মাইন বিস্ফোরিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে অহরহ।