নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জামছড়ি ৮নং ওয়ার্ডের ৪৫সীমান্ত পিলার দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটের সময় মিয়ানমারের সামান্য ভিতর থেকে অনেক বড় আওয়াজের একটি মাইন বিস্ফোরণের শব্দ বাংলাদেশের অভ্যন্তরের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় কাপন সৃষ্টি করেছে বলে জানান স্থানীয় মোঃ রহমান। অপর দিকে গত ১লা নভেম্বর সকাল ৯টার সময় জামছড়ি এলাকায় বসবাসকারী মোঃ আলম(৪৫) জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের জন্য ৪৫ পিলারের মাঝামাঝি পুরান ঘাটি এলাকা দিয়ে তিনি একা মিয়ানমারের অল্প ভিতরে প্রবেশ করে,তার কিছুক্ষণ পরেই সকাল ১০টার দিকে মিয়ানমারের ভিতরে মাইন বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় লোকজন। ধারণা করে হচ্ছে ঐ মাইন বিস্ফোরণেই আলম ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। এলাকা বাসি সুত্রে জানা যায় গত ১৬দিন পযর্ন্ত নিখোঁজ আলমের আগের জন্ম স্থান ছিল মিয়ামারের সালিদং এলাকায় সেখান থেকে এসে নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি এলাকায় নুরবাহার বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করে জামছড়ি এলাকায় থাকতেন। তার প্রথম স্ত্রী বসবাস করেন কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে,তার দ্বিতীয় স্ত্রী বর্তমানে দুই মেয়ে সন্তান নিয়ে জামছড়িতে বসবাস করেন। বিগত ১৬ দিনেও আলমের কোন হদিস না পাওয়াতে তার স্ত্রী এবং দুই মেয়ে সন্তান দারুন অর্থ কষ্টে পড়েছেন, এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বারবার ফোন করেও সংযোগ না পাওয়ায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
