বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি এবং মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা রয়েছে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার আঁকাবাঁকা ঝিরি ঝর্ণা পাহাড় এবং সমতল মিলে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩১ নাম্বার সীমান্ত পিলার থেকে শুরু হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন দিয়ে গিয়ে দৌছড়ি ইউনিয়নের শেষ মাথা টারগুছড়ার ৫৫ নং সীমান্ত পিলার পযর্ন্ত বিগত কয়েক মাস ধরে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় আগেকার মত ভীতিকর, রকেট লাঞ্চার, গোলাগুলি,মটারশেল,স্থল মাইন বিস্ফোরণের শব্দ এখন আর নাইক্ষ্যংছড়ির অভ্যন্তরে আসছেনা। বিগত ৯ মাস আগেও সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী অজস্র মানুষের ঘুম ভাঙতো মিয়ানমারের সামান্য ভিতরে তুমুল গোলাবারুদ বিস্ফোরণের বিকট শব্দে। জানা যায় ঐ সময়ে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় সে দেশের সীমান্তরক্ষী বিজিপি এবং বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপ আরকান আর্মির নিজেদের আধিপত্য জনিত সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ সময় পযর্ন্ত রক্ত ঝড়া সংর্ঘষ চলে,যাতে দুই পক্ষের মাঝে অনেক প্রাণ হানির ঘটনা ঘটেছে।
সীমান্ত জনপদের কাছাকাছি বসবাসকারী ঘুমধুমের তমব্রু এলাকার সরোয়ার,নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেরার মাঠের মোঃ আইয়ুব,জামছড়ির স্থানীয় কৃষক মোঃ রহমান সহ,এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ফরিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে,তারা জানান বতর্মান সময়ে সীমান্ত হট্টগোল নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কোন আতঙ্ক নেই,সীমান্তের কাছাকাছি গিয়ে অনেক কৃষক তাদের কৃষিকাজ নির্দ্বিধায় সম্পন্ন করছেন।