নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) সোহাগ রানার নির্দেশনায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ঘুমধুম থেকে বিদেশী বিয়ারসহ ২ পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার(০৯ মার্চ) রাত পৌনে একটার দিকে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সাহসী ও সৎ পুলিশ অফিসার আল আমিনের নেতৃত্বে। সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় উত্তর ঘুমধুম বড়বিলস্থ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে কাঁচা রাস্তার উপর থেকে ১৪৪ বোতল ক্যান বিয়ার (১২%) সহ ২ পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে আরও দুই পাচারকারী পালিয়ে যায় বলে পুলিশ সুত্রে জানাযায়। আটককৃত আসামীরা হলেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার মগঘাট এলাকার মৃত দীলিপ হোসেনের পুত্র ১/ শাকিল (১৭), অপরজন টেকনাফ থানার নোয়াপাড়া ১ নং ওয়ার্ডের কবির আহাম্মদের পুত্র মিজানুর রহমান (১৬)। পলাতক আসামীরা হল: ঘুমধুম বড়বিল ৭নং ওয়ার্ড'র ফরিদ আলমের পুত্র মোঃ জিল্লুর রহমান(২৬) ও একই এলাকার বিদর্শন বড়ুয়ার পুত্র রাজেশ বড়ুয়া প্রকাশ আব্বুইয়া(২৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) সোহাগ রানা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বড়বিল এলাকায় অভিযানে নামে পুলিশের সঙ্গীয় ফোর্স। এ সময় বিদেশী বিয়ারসহ ২ দুজনকে আটক করে থানায় প্রেরণ করা হয়েছে এবং পলাতক আসামীদেরকেও গ্রেফতারের অভিযান চলমান আছে। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) টানটু সাহ বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংশ্লিষ্ট ধারায় থানায় মামলার প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন। এবং পুলিশের মাদক বিরোধী ধারাবাহিক এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য: এসআই আল আমিন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এসআই হিসেবে যোগদানের পর থেকে একের পর এক ধারাবাহিক অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, হরেক রকম মাদক, চোলাই মদ,ওয়ারেন্ট তামিলকারী ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রম সুষ্ঠু, সুন্দর, নির্ভুল ও সূচারুরূপে পালন করে ভূয়সী প্রশংসায় ভাসছেন। তিনি বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় কর্মরত থাকাবস্থায় এধরণের সফলতার জন্য শ্রেষ্ট পুলিশ অফিসার হিসেবেও অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন।