নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের এপারের গ্রাম সমূহে আবারো গুলির আওয়াজ ভেসে এসেছে। ২ জানুয়ারী দুপুর একটা থেকে বন্ধ থেকে বুধবার ৩ জানুয়ারী বিকেলে ৪টা ১মিনিটের সময় ৩৪/৩৫ সীমান্ত পিলারের মাঝ দিয়ে একটু পরপর ৪ রাউন্ড গুলির আওয়াজ আসাতে,স্থানীয় চাকমা পাড়ার কেউ কেউ মনে করেণ,মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে তারা এমন ফায়ার করে তারা এখনও সক্রিয় আছেন এমনটা বুঝান?
সীমান্তের অধিবাসী আবদুর রহিম,মং তংচঙ্গা জানান,৩০,৩১ ডিসেস্বর'২৩ ও ১ জানুয়ারি ২০২৪ মোট ৩ দিন এ সীমান্তে
স্বরণকালের বড় আকারে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
কিন্ত ১ জানুয়ারি সোমবার সকাল ৯/টার পর থেকে ৩ জানুয়ারী বুধবার বিকেলে সীমান্তের এ পয়েন্টে গোলাগুলির আওয়াজ তারা শুনেছেন।
তবে এতে বাংরাদেশের অংশে গুলির কোন খোসা বা বুলেট আসে নি।
উল্লেখ্য,প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে সরকার বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যকার তুমুল সংঘর্ষ চলে আসছে গত ২ বছর ধরে। ঐ সময়ের মধ্যে দফায দফায় গোলাগুলিতে কয়েকবার গোলা ও মর্টার শেল এসে পড়ে তুমব্রু গ্রামে। এর আগে ২০২২ সালে ১৬ সেম্টেম্বর রাত ৮ টায় পরপর ২ টি মর্টারশেল এসে পড়ে তুমব্রু গ্রামে । যার একটি পড়ে বাংলাদেশী নাগরিক ও কোনার পাড়ার বাসিন্দা শাহ আলম ড্রাইভারের বাড়ির পাশে।
অপর ১ টি পড়ে তৎসময়ের শূণ্যরেখায় বসবাসরত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে পড়া গোলাটিতে আহত হয় অন্তত ৮ জন। যাদের মধ্যে ১ জন মারা যায়। তার নাম মোহাম্মদ ইকবাল (২৮)পিতা মনির আহমদ । এভাবে এ সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে আসছে।