বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাড়িতে বার্মিজ গরু আটক করতে গিয়ে বিজিবির উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ৬টি বার্মিজ গরুসহ ৪জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার রাতে ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাড়ি চাকমাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
পরে আটকৃতদের বিরুদ্ধে ৩৪ বিজিবির পক্ষ থেকে জেসিও রেজাউল করিম বাদী হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় দুটি মামলা দায়ের করে। এদিকে আটকৃত চারজনকে পুলিশ আদালতে পাঠালে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আটকৃত আসামীরা হলো- কানতুমং তংচঙ্গ্যা (৪০), চুতিঅং তংচঙ্গ্যা (৩৬), সুমং তংচঙ্গ্যা (২৮) ও রইশসা তংচঙ্গ্যা (৬০)।
এরআগে শনিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩৪ বিজিবি নিয়ন্ত্রিত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাড়ি চাকমাপাড়ায় সরকারী শুষ্ক ফাঁকি দিয়ে বার্মিজ গরু পাচারের খবর পেয়ে অভিযানে যায় বিজিবি। এসময় ওই এলাকার গরু পাচারকারীসহ অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিজিবির উপর হামলা করে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) মো: শাহাজাহান জানান, হামলার ঘটনায় দুটি মামলা করেছে বিজিবি। বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আটক ৪জনকে আদালতে পাঠানো হয়। বাকী আসামীদের আটকে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তের পাহাড়ী পথ ব্যবহার করে সরকারকে শুষ্ক ফাকি দিয়ে মায়ানমার থেকে চোরাই পথে গরু নিয়ে আসছে একটি সিন্ডিকেট। সম্প্রতি বিজিবি ও পুলিশ তৎপরত হলে চোরাকারবারীরা চোরাচালানের পথ পাল্টাতে থাকে। সিন্ডিকেট সদস্যরা কখনো, নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের জামছড়ি, ফুলতলী, আশারতলী, নিকুছড়ি আবার কখনো, ঘুমধুম, বাইশফাড়ি দিয়ে গরু পাচার করে আসছে। অন্যদিকে আলীকদম সীমান্ত হয়ে আসা গরু পাচার হচ্ছে বাইশারী ইউনিয়নের আলীক্ষ্যং, কাগজীখোলা ও ঈদগড় পথে। স্থানীয়রা জানান এসব গরু পাচারে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা জড়িয়ে পড়ায় আইন শৃংখলা বাহিনী সহজে গরু পাচার রোধ করতে পারছে না। তবে বিজিবি তাদের সীমান্ত পথ পুরোপুরি বন্ধ করতে পারলে বার্মিজ গরু পাচার রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।