আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামুতে মানবপাচার বেড়েছে,এক গ্রাম থেকেই নিখোঁজ ৮

মোঃ ইফসান খান ইমন, নাইক্ষ‍্যংছড়ি : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১৮ অগাস্ট ২০২৩ ০৬:০১:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

 নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ও রামু  উপজেলার দুর্গম জনপদে মানব

পাচার  হচ্ছে দেদারসে। 

দু'ই উপজেলার পাহাড়ি ও অনগ্রসর গ্রাম গুলোতে হানা দিচ্ছে পাচারকারীর দলের সদস্যরা। আর এ অপতৎপরতায় অনেক গ্রাম এখন পুরুষ শূন্যও  হয়ে পড়েছে  বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের মাঝে

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের তারগু মৌজা হেডম্যম‍্যান মংনু মার্মা বলেন,মানব পাচার বেড়েছে সম্প্রতি,তার এলাকায় এ পর্যন্ত কতজন পাচার হয়েছে তার কাছে সঠিক তথ্য না থাকলেও পাচারকারীদেন কাছ থেকে ২ জন পালিয়ে আসার তথ্য তার কাছে আছে। তাদের একজন পাইনছড়ি গ্রামের ছৈয়দ হোসেনের ছেলে কালাইয় (২০)। সে অনেক তদবিরে করে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে টেকনাফ সাগর থেকে বাড়ি ফিরে এসেছে কোন মতে। 

তিনি আরো জানান,মানবপাচার ও অপহরণ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় অনেকে উদ্বেগ প্রকাশও করছেন।

ঘুমধুমের একাধিক সূত্র জানান,গত ১৪ আগষ্ট মানবপাচারকারীদের খপ্পরে পরে ২৬ জন লোক মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে আটক হন। তাদের মধ্যে ২জন ঘুমধুমের কচুবুনিয়ায় এলাকার রয়েছে।

রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের মরিচ্যাচরের

ফরিদুল আলম,বদি আলম ও জাফর আলম জানান,তাদের ৩ সন্তানসহ গ্রামের ১১ যুবক ও কিশোরকে মানবপাচারকারী চক্র ফাঁদে পড়েছে। যাদের সহায়তা করে স্থানীয় কয়েজন দালাল। যারা এদেরকে কিচূ রোহিঙ্গা আর টেকনাফের দালালদের মাধ্যমে টেকনাফ নিয়ে যায়। পরে বোটে করে সাগর পথে  মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে মিয়ানমারের জলদস্যুদের খপ্পরে পড়ে। সে বোটে ৭২ জন মানুষ ছিলো। এখন তাদের হদিস মিলছে না।

তারা নিজেদের গ্রামকে পুরুষ শূণ্য দাবী করে এ প্রতিবেদককে বলেন,এখন তাদের গ্রামের সন্তান হারা কিছু পরিবারে হাহাকার চলছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আদর্শগ্রামের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া আক্ষেপ করে বলেন,রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অনেক রোহিঙ্গা তাদের গ্রামে আসে স্বজনদের কাছে। গত ৪ আগষ্ট এ ধরণের কয়েকজন  রোহিঙ্গা এখানে এসে কয়েকদিন অবস্থান করে ফিরে গিয়ে কৌশলে যুবকদের নিয়ে গেছে। যাদের ২ জন হলো মোবারক জিয়া ও নেজামুদ্দিন। 

তাদের ২ জনের জন্যে তাদের পিতা-মাতা

প্রায় পাগল অবস্থায় শুধু পথে ঘাটে বিলাপ করেই যাচ্ছে।

মানবপাচার বিষয়ে জানতে চাইলে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, আসলে মানব পাচার খুু্বই গর্হিত কাজ।  অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়া মানে জীবন নিয়ে খেলা করা। 

সুতারাং একাজ কেউ করলে তার ছাড় নেই। 

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা  বলেন, মানব পাচার বা অবৈধ পথে বিদেশ গমন সরকারী ভাবে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তিনি সর্ব মহলকে এ অবৈধ পন্থা অবলম্বনকারীদেকে বিষয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন।