উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবির সোর্স জহুর আলম হত্যা ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ১১ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার( ১৫ মে) সকালে এ মামলা দায়ের করা হয় ঘটনার ২ দিন পর। যার বাদী নিহতের স্ত্রী মমতাজ বেগম। মামলার নম্বর ৯ ( তারিখ-১৫/৫/২০২৩)। এ মামলায় পুলিশ সকালেই-৪ আসামীকে খুনের সাথে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন,রোহিঙ্গা আমান উল্লাহ (৩৫), পিতা-রোহিঙ্গা কালু, জাহাঙ্গীর আলম (৩২) পিতা: হারুনুর রশিদ, মোহাম্মদ ইসমাঈল (২৮), পিতা: ছৈয়দ আলম। তারা ঘুমধুম ১ নম্বর ওয়ার্ড়ের খিজারীঘোনা গ্রামের বাসিন্দা। জমির উদ্দিন (২৮) পিতা: নুরুল ইসলাম সে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জলপাইতলী গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেপ্তার আসামীদের মধ্যে জমির উদ্দিন ও মোঃ ইসমাঈল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা পুলিশকে স্বীকার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানা'র অফিসার ইনচার্জ (ওসি) টানটু সাহা এই প্রতিবেদককে বলেন,জুহুর হত্যা-কান্ডের সাথে জড়িত অন্য আসামীদেরকেও দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। নিহতের স্ত্রী মমতাজ বেগম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান আমার স্বামী মূলত বিজিবি'র সোর্স। পাশাপাশি টমটমও চালাতেন। মামলার আসামীরা সীমান্ত চোরাকারবারী। তিনি আরো জানান, আটক আসামীদের মধ্যে জমির ও ইসমাঈল গভীর রাতে ফোন করে তার স্বামীকে ঘুম থেকে তুলে ডেকে নিয়ে যায় সীমান্তের ৩৩ নম্বর পিলার এলাকায়। সেখানেই তাকে মূখে কাপড় ঢুকিয়ে লাঠি ও রড় দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করে। বিজিবির সহায়তায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।