আজ মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নাইক্ষংছড়িতে দপ্তরি হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানার এনেছে পুলিশ

মোঃ ইফসান খান ইমন নাইক্ষ‍্যংছড়ি: | প্রকাশের সময় : বুধবার ৯ নভেম্বর ২০২২ ০৫:০০:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

 

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আমতলী মাঠ মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার দপ্তরী কে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। তার নাম দিদারুল আলম (২৭) পিতা মোঃ ইসলাম। মঙ্গলবার (৮নভেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। স্থনীয় সূত্রে জানা যায় আমতলী মাঠের শাহা আলম ও আবু তাহেরের বাড়ির মাঝখানে রাস্তার উপর নিহত দিদারের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ কে খবর দেয় স্হানীয়রা। তবে কি কারণ এবং কারা হত্যা করেছে এবিষয়ে কোন ক্লো জানা না গেলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় একটি সুত্রে জানান, একই মাদ্রাসার ছাত্র ছৈয়দুল আমিন, রেজাউল করিমের, সাথে নারী ঘটিত একটি ঘটনা, দিদারুল আলম জানতো। যাহা মাদ্রাসায় একাধিক বার বৈঠক হয়েছে। নিহতের স্ত্রী খালেদা বেগম জানান,তার স্বামী দিদার মাগরিবের আগে বাচ্চাদে জন্য নাস্তা আনবে বলে বাড়ি থেকে দোকানে যায় এবং এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা আমার স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। নিহতের স্ত্রী খালেদা বেগম ছাড়াও ৪ বৎসরের তাসপিয়া নামের একটি মেয়ে ও আড়াই বৎসরের খায়রুল আমিন নামের একটি ছেলে রয়েছে তার। এলাকাবাসী জানান, পুলিশ ঘটনা স্থালে পৌঁছে রাত ২ টায় লাশ উদ্ধার করে ৯ নভেম্বর সকালে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন। মহিউচুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ছাত্রদের বিষয়টি মাদ্রাসায় সমাধান হয়েছে। আর দিদারুল আলম একজন শান্ত ও ভদ্র ছেলে। সে মাদ্রাসায় যোগদানের পর থেকে মাদ্রাসার সকলের সাথে মিলেমিশে কাজ করে আসেছে। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাজাহান এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন নিহতের, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে বুধবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে তিনি অপরাধী যে-ই হোক না কেন রহস্য উদঘাটন করে আইনের আওতায় আনা হবে তাদের। এ সংবাদ পর্যন্ত মোহাম্মদ হোছনের ছেলে ছৈয়দুল আমিন কে পুলিশ জিজ্ঞেসাবাদের জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় নিয়ে এসেছে সুত্রে জানা গেছে।