কক্সবাজারের চকরিয়ায় ইউপি সচিব ও গ্রাম পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার রাতে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। থানায় দায়েরকৃত উক্ত মামলায় ডুলাহাজারা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত মেম্বার রমজান
আলীকে প্রধান করে ১১ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ৫-৬জনকে আসামী করা হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি (বাপসা) কক্সবাজার জেলা ও
চকরিয়া উপজেলা নেতৃবৃন্দ ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। অন্যথায় ইউনিয়ন পরিষদে কর্মবিরতীসহ নানা কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও তারা হুশিয়ারী দেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, আহত ইউপি সচিব হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে থানায় এজাহার জমা দিলে তা মামলা হিসেবে
রুজু করা হয়। মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে সরকারী দপ্তরে কাজে বাধাপ্রদান, ভাংচুর,
নগদ টাকা লুট ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই মামলার
আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের একটি টিম মাঠে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯ জানুয়ারি (বুধবার) দুপুর ১টার দিকে জন্মসনদ প্রদানের শর্ত পূরণ না করে সনদ দিতে অনীহা প্রকাশ করায় ডুলাহাজারা ইউপি কার্যালয়ে এসে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার রমজান আলী তার দলবলসহ ইউপি সচিব ও গ্রাম পুলিশের উপর হামলা চালায়। এসময় গ্রাম পুলিশসহ ৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সচিব হুমায়ুন কবির ও গ্রাম পুলিশ নাসির উদ্দিন এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।