কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজারের এম.এস কম্পিউটার ও মোহেছন আউলিয়া নামক স্বর্ণের দোকান দখলকে কেন্দ্র করে চলছে টান টান উত্তেজনা,যে কোন মহুর্তে হতে পারে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
স্থানীয়দের মতে এ নিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত দোকোন ২টি দখলে নিতে করেক দফায় হামলা ও লুটপাটরে ঘটনা ঘটিয়েছে জবরদখল কারীরা।
দোকান মালিক আফরোজা শারমিন চৌধুরীর স্বামী ও হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারী রামু থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ গত ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং রাত অনুমান ১০ টার সময় আফরোজা শারমিন চৌধুরীর মালিকানাধীন মোহছেন আউলিয়া জুয়েলার্সের দোকান ও মিজান এবং সাদেকুর রহমানের এম.এস কম্পিউটার এর দোকানে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নরুল আবছার,নুরুল আজিজ,কবির আহাম্মদ গংদের ১০/১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ জবরদখলকারীরা দেশীয় তৈরি অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ও ভাংচুর করে ২টি দোকান থেকে স্বর্ণ,২টি ল্যাপটপ,ক্যামরা নগদ টাকাসহ মোট ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মালামল নিয়ে যায়। এদিন আমাদের খুন,গুম ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলেযায় তারা।
দোকানের একাংশের মালিক কচ্ছপিয়া ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোগতা এম.এস কম্পিউটার এর স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান জানান
এ ঘটনায় থানায় মামলায় করায় তারা আরো ক্ষেপে গিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী সন্ত্রাসীরা উক্ত মামলা থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে কচ্ছপিয়া ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ সাহাজান (শাকিল) সিকদারের নেতৃত্বে আবারও সন্ত্রাসী কায়দায় তারা হামলা করে দোকান মালিক সাদেকুর রহমানকে ব্যাপক মরধর করে। খবর পেয়ে সাদেক এর স্ত্রী ও খালা আম্মু দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধারের চেষ্টা কালে তাদেরকেও মারধর করেন তারা। এমত অবস্থায় মিজান নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ এ কল দিলে গর্জনিয়া ফাঁড়ির একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার বিষয়ে সততা নিশ্চিত করে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ ফরহাদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, দোকান ২টি জয়নালের স্থী ও মিজান এবং সাদেক এর
দখলে ছিল অনেক দিন। তবে হামলা ও লুটপাট এর ঘটনায় মামলা হয়েছে। এর পর আবারও কেন ঘটনা করছে তিনি বিষয়টি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। দোকান মালিক প্রামারী শিক্ষিকা আফোজা শারমিন চৌধুরীর জানান স্থানীয় চেয়ারম্যান আমাদের পক্ষে বিচারের রায় দিয়েছে এবং ভূমি অফিসেরও একটি রিপোর্ট আমাদের পক্ষে আছে এর পরেও তারা আমাদের জমির উপর কোনজর পড়ে।
এ বিষয়ে মেম্বার মোঃ সাহাজান শাকিল সিকদার জানান জায়গা জমির ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে ঘটনা হয়েছে এটা টিক আছে। নিরীহ লোকদের মামলায় দিল কেন? আমি এর প্রতিবাদ করেছি।
ঘটনার সাথে জড়িত নুরুল আবছার ও আজিজি লুটপাট এর ঘটনা অস্বীকার করে জানান তারা এক ওয়ারিশ এর কাছ থেকে একটি অংশ ক্রয় করেছি। সেই অংশ দখলের জন্য এ ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসীর মতে এ ঘটনা এখন টক অবদ্যা গর্জনিয়ায় পরিনত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গর্জনিয়া বাজারে চলছে টান টান উত্তেজনা। দ্রুত নিরসন না হলে যে কোন মহুর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করেছে সচেতন মহল।