খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় প্রায় ৩০কোটি টাকা মূল্যের গাঁজাগাছ ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গুইমারা ইউনিয়ন পরিষদের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা চৌধুরী পাড়া নামক স্থানে এ গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করা হয়। গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী, গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর আমিনসহ পুলিশ ও সেনা সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মঙ্গলবার ভোরে গুইমারা থানার ওসি আরিফুর আমিনের নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে দুই একর জমিতে চাষ করা গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পান।
গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর আমিন জানান, এ এলাকাটি দুর্গম, ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। গাঁজা চাষে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে আইনী কার্যক্রম চলছে।
গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গুইমারার দুর্গম এলাকায় ২ একর গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ৩০ কোটি টাকা।
এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মিডিয়া সেলের এক প্রেসবার্তায় জানানো হয়। গুইমারা সদও থেকে ১৫কি:মি: দুরে চৌধুরী পাড়া নামক দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পরিত্যক্ত সাড়ে ৩ একর ভূূমিতেচাষ করা অবস্থায় ৩হাজার ২৫াট গাঁজা গাছ যার ওজন ৩০হাজার ২৫ কেজি যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৩০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তাধর, পিপিএম(বার) গাঁজা ধ্বংস অভিযোনে নেতৃত্ব দেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফরিদুল আলম এর উপস্থিতিতে জব্দকৃত গাঁজার মধ্যে ১৫ কেজি গাঁজা নমুনা আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়। বাকি গাঁজা ঘটনাস্থলেই পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় কলে প্রেসবার্তায় উরেøখ করা হয়। মঙ্গলবারের গাঁজা ধ্বংসের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় অভিযান বলে সচেতনমহল মনে করছে।