খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক সোহেল রানাকে একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় পাহাড়ি বাঙালির মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শিক্ষক নিহতের জের ধরে দুবৃর্ত্তরা একটি কেএসটিসি হাসপাতালসহ বেশ কিছু দোকান ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটায়। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
২ অক্টোবর বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান ও খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগে বিধ্বস্ত দোকানগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা জানান, পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে আমরা দোকান বন্ধ করে চলে গিয়েছিলাম। আমাদের দোকান বন্ধ ছিলো। সকালে এসে দেখি দোকান ভাংচুর করে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে। আমরা এখন নিঃস্ব। আমরা যদি কোনো আর্থিক সহযোগিতা পাই তাহলে আমাদের উপকার হবে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান জানান, আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করতেছি। যাদের দোকানে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে তাদের ক্ষয় ক্ষতি নিরুপন করে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি আরও বলেন, ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় যে বা যারা জড়িত তাদেক কে আমরা আইনের আওতায় আনবো।
পরিদর্শনে পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক নিহতের ঘটনায় সদরে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করাতে বর্তমানে স্বাভাবিক। এবং ঘটনার পেক্ষিতে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ২টি মামলা হয়েছে ও ১টি চলমান আছে বলে জানালেন পুলিশ সুপার।
খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও সকাল থেকে দুরপাল্লার গাড়ি, বাজারে যান চলাচল ও বাজারে মানুষের আনাগোনা স্বাভাবিক রয়েছে এবং ১৪৪ ধারা চলমান থাকবে। যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রত্যাহার করা বলে জানিয়েছেন প্রশাসন। খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছীড়-ঢাকাগামী বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে প্রশাসনের পক্ষ হতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।