বান্দরবানে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর অপতৎপরতায় বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে টানা ৫ দিনের সরকারি ছুটিতেও শহরের নিকটবর্তী পর্যটন স্পটগুলোতে উল্লেখযোগ্য পর্যটক লক্ষ্য করা যায়নি।
২০২২ সালের মে মাসের আগেও বেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর ছিল পার্বত্য জেলা বান্দরবান। জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে বিশেষ ছুটির দিনে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে যেত কয়েকগুণ। তবে এবার পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের কারণে চলমান পরিস্থিতিতে পর্যটকরা বান্দরবান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার তিন উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকায় ঈদের ছুটির দিনগুলোতেও আশানুরূপ পর্যটক আসেননি। এবারে অন্যান্য বছরের তুলনায় ১০ শতাংশেরও কম কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়েছে।
বান্দরবানের হোটেল নাইট হ্যাভেনের ম্যানেজার ওমর ফারুক বলেন, তিন উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে বান্দরবান ভ্রমণে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আমরা হোটেলের রুম ভাড়ায় ছাড় দিয়েও বুকিং পাচ্ছি না।
বান্দরবান হোটেল মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হোটেল আরণ্যের মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এই ঈদে পর্যটকদের তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। ঈদে টানা ৫ দিন সরকারি বন্ধ থাকলেও ১০ শতাংশ বুকিং পাওয়া যায়নি। জেলা শহরের ৭০টি আবাসিক হোটেল-মোটেল ও কটেজ এখন মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে তিন উপজেলায় দফায় দফায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকায় পর্যটন ব্যবসায় ধস নেমেছে।
এ বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে পর্যটক একটু বেশি হয়। সামনে এসএসসি পরীক্ষা, তাপ প্রবাহসহ নানা কারণে আগের থেকে তুলনামূলকভাবে পর্যটন একটু কম। পরিস্থিতি একটু উন্নতি হলে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি এই তিন উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হবে। তবে পর্যটকরা বান্দরবান সদরসহ বাকি অন্য উপজেলাগুলোর পর্যটনকেন্দ্রে অনায়াসে ঘুরতে পারেন।