ইউএনও সালমা ফেরদৌসের এডিসি হিসেবে পদোন্নতিতে নাইক্ষ্যংছড়িবাসী খুবই খুশি বলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিউল্লাহ বলেছেন, প্রজাতন্ত্রের একজন মাঠপর্যায়ের কর্তা হিসেবে তিনি কম সময়ে সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি সরকারের যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড সূচারুভাবে সম্পন্ন করা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতেন। আর বাস্তবায়নের চেষ্ঠা করতেন। বিশেষ করে সরকারী কর্মচারীদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে কাজ করার পাশাপাশি জনজনের সেবাতে মনোযোগী ছিলেন। সব কিছু বিবেচনায় তার পদোন্নতিতে নাইক্ষ্যংছড়িবাসী খুশি। সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল ৩ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন লেকে সরকারী কর্মকর্তাদের সংগঠন নবমিতা অফির্সাস ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইউএনওর বিদায় অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। বিদায়ী ভাষণে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, নাইক্ষংছড়ির মানুষ অনেক সহজ-সরল। এলাকা অনেক সুন্দর। প্রেসক্লাবের সংবাদিক সহ কর্মরত সাংবাদিকরা ভাল কাজ করে। এক কথায় এখানকার মানুষ সরকারের কাজে সহায়ক শক্তি হিসেবে সরকারী কর্মকর্তাতের পাশে থাকে। তিনি আরো বলেন,বিশেষ করে এখানকার রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা তাকে সববিষয়ে সহায়তা করেছেন। নাইক্ষংছড়ি সদ্য যোগদান করা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুদ্দিন মুহাম্মদ রেজার সভাপতিত্বে সহকরী শিক্ষা অফিসার আক্তার উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো এনামুল হক, জনস্বাস্থা প্রকৌশলী শাহ আজিজ,খাদ্য কর্মকর্তা সেলিম হেলালী,উপজেলা প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম,পরিসংখ্যান অফিসার রিমন রৌদ্র,উপজেলা হর্টিকালসার সেন্টারের উদ্যান তত্ববিদ মোঃ ইমরানুল কবির,প্রাণী সম্পদ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ নূর, নাইক্ষংছড়ি উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ,প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহাঙ্গির আলম কাজল ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মফিরুজ্জামান সহ বেশ ক'জন অফিসার বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি এবং বিদায়ী অতিথি উপবন পর্যটন লেকে কায়াকিং নামের নতুন দুটি ডিজিটাল বোট পানিতে ভাসিয়ে উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য নাইক্ষংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস এডিসি হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে কুমিল্লায় বদলী হয়েছেন।