বান্দরবানের আলীকদমে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর সুব্রত দাশ (৬) নামের এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরের উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের এলাকার মানিকের বাড়ীর পিছনে ঝিরি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। সে সুব্রত দাশ আলীকদম বাজারের মাছ ব্যবসায়ী শংকর দাশের ছেলে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ ঘটিকার সময় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর সুব্রত দাশ (০৬) নামের এক শিশুর অর্ধগলিত ও অর্ধমাটি চাপা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা সুধীর কর্মকার বলেন, গত সোমবার দিন সকাল থেকে সুব্রত দাশ নিখোঁজ হয়। এরপর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে খোজ করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে গত মঙ্গলবার দিন ভর মাইকিং করা হয়। এরপরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সন্ধান চাওয়া হয়েছে। আজ সকালে সদর হিন্দু পাড়ার পাশ্ববর্তী ঝিরির কাদামাটিতে অর্ধমাটি চাপা অবস্থায় এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ দেখতে পান। পরে ওই স্থানীয় চিৎকার করে ডাকতে থাকে স্থানীয়দের। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লাশটি সুব্রত দাশের বলে শনাক্ত করে। খবর পেয়ে আলীকদম থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
সুব্রতের বাবা শংকর দাশ বলেন, ‘পারিবারিকভাবে কারও সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। কেন এ ঘটনা ঘটিয়েছে,তা আমরা জানি না। নিখোঁজের আগে সর্বশেষ নাছিরের ছেলের সাথে আমার ছেলেকে দেখা গেছে। নাছিরের ছেলে জোর করে টেনে নিতেও দেখেছে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে আলীকদম থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো.দেলোয়ার হোসেন বলেন,আমরা কোন সিনটম পাইনি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।