আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

লামায় দু গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

বেলাল আহমদ, লামা (বান্দরবান) : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৪৪:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

সরকারি রিজার্ভের গাছ খেকো, অসংখ্য বন মামলার আসামী, অবৈধ গরু ব্যবসায়ী, সেনাবাহিনী বন বিভাগের নামধারী

কথিত সোর্স ও চাঁদাবাজ 'ওমর ফারুক বেচু' এর নিয়মিত চাঁদাবাজি ও গাছ ব্যবসায়ীদের নামে-বেনামে অভিযোগ করে হয়রাণীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে লামা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গাছ ব্যবসায়ী, বাগান মালিক ও গাছ-বাঁশের জড়িত শ্রমিক।

লামা প্রেস ক্লাব হলরুমে রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত বক্তব্যে সুলতান আকবর মোমিন জানান,আমরা বাগান মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করে বাগান সৃজন করে বিক্রি করি, কেউ ক্রয় করেন এবং হাজার হাজার শ্রমিকরা

এ কাজে শ্রম দিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। লামা উপজেলায় শ্রমজীবি মানুষের গাছ-বাঁশ ছাড়া তেমন কোন পেশা নেই। হাজার মানুষের জীবিকা যেখানে জড়িত সেই সেক্টরটি আজ কতিপয় চাঁদাবাজের দ্বারা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

সম্প্রতি সময়ে দেশে যখন পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে সেই সুযোগে মো. ওমর ফারুক প্রকাশ (বেচু) বিভিন্ন সময় লামা বন বিভাগের তৈন রিজার্ভ হতে ফরেস্টার মোজাম্মেল হক এর সহযোগিতায় বিভিন্ন সময় রাতে ও দিনে একদল গাছ কর্তনকারী লেবার এর মাধ্যমে প্রায় ৫০০ গাছ কর্তন করে নিয়ে আসে। যার প্রমান স্বরুপ লেবার এর জবানবন্দি আছে। বন বিভাগ কর্তৃক ওমর ফারুক এর বিরুদ্ধে ৬/৭টি বন মামলা রয়েছে। বর্তমানে ওমর ফারুক বন মামলা হতে জামিনে

আছে। প্রকৃতপক্ষে ওমর ফারুক একজন রিজার্ভ এর গাছ পাচারকারী, ওমর ফারুক প্রতিনিয়ত রিজার্ভের গাছ কর্তন করে বর্তমানে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ এ রুপান্তর হয়েছে। ওমর ফারুক বেচু কিছু দৃষ্কৃতিকারী লোকজনের সহযোগিতায় বিভিন্ন দপ্তরের মোবাইল নাম্বার, ই-মেইল

নাম্বার ও বিভিন্ন কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে, লামা বন বিভাগের বিভিন্ন জোত পারমিট এর তথ্য সরবরাহ করে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রদান করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যবসায়ী হতে নগদ অর্থ চাঁদা দাবি করেন ও হুমকি প্রদান করিতেছেন। সে বলে যে, আপনার আমাকে নগদ অর্থ প্রদান না করিলে আমি আপনাদের জোত পারমিট এর বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, সিএফ, সিসিএফ এর বরাবরে অভিযোগ করিব। এসব বলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগও করেন এবং নগদ অর্থ প্রদান করিলে তাহা প্রত্যাহার করেন।

বর্তমানে ওমর ফারুক হতে নামা বন বিভাগ এর আওতাধীন বিভিন্ন ব্যবসায়ীর নিকট হতে মাসিক চাঁদা দাবি করে আসছেন আর বলছেন

আমি একজন লামা বন বিভাগ এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সোর্স হিসাবে কাজ করি। আমার কথা না মানলে আপনাদের বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তথ্য প্রদান করিব। আজ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ওমর ফারুক দ্বারা অতিষ্ট হয়ে ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় গৃহহারা। যারা গাছ এর কাজ করেন লেবার হতে শুর করে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছেন। আরোও উল্লেখ্য যে, লামা বন

বিভাগ এর বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ও অভিযোগ করিয়া নগদ অর্থ গ্রহণ করিয়াছেন যাহার স্বাক্ষীও আছে। আজ ওমর ফারুক প্রকাশ বেচুর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট সাধারন ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা নিরুপায়। ওমর ফারুক একজন রিজার্ভ এর গাছ চোর। গাছ চুরি করে চকরিয়া, ডুলহাজারা, ও কক্সবাজার সহ বিভিন্ন রিসোর্টে গাছ প্রদান করে আজ কোটি টাকার মালিক।এদিকে বর্তমানে ৫ আগস্ট এর পরে নিজেকে বিএনপি নেতা বলেও দাবি করেন। বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ওমর ফারুক

বিএনপি'র বা কোন অংগ সংগঠনে তাহার নাম নাই। এই মর্মে প্রশাসনিক ভাবে এই চাঁদাবাজ ও রিজার্ভ এর গাছ চোর কে যথাযথ ভাবে

আইনি ব্যবস্থা গ্রহনে সকলের দৃষ্টি আকর্ষন কামনা করছি আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীরা ও সচেতন নাগরিক সমাজ।

 

এদিকে ওমর ফারুক বেচু বিকাল ৩.৩০ মিনিটে উক্ত সংবাদ সম্মলনের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে বলেন লামা জোত মালিক কর্তৃক অবাধ কাঠ ব্যবসা চালু রাখার জন্য আমি মোঃ ওমর ফারুক ও আমার ছেলেকে হত্যা করে তাদের ব্যবসা চালু করার জন্য বিগত ২৬/০৯/২০২৪ইং জোত মালিক সমিতির অফিসে গভীর রাতে মিটিং করে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। গত ২৮/০৯/২০২৪ইং তারিখ টিটিএন্ডডিসির কাঠ ব্যবসায়ী কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসীরা আনুমানিক বিকাল ৩.৩০ ঘটিকার সময় কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট এর সামনে আমাকে প্রাণ নাশের উদ্দ্যেশে মারধর করে একপর্যায়ে সেখান থেকে সন্ত্রাসী কায়দায় আমাকে তুলে নিয়ে লামা উপজেলা পরিষদের সম্মুখে প্রধান সড়কে আসলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করে। কিছুক্ষণ পরে লামা কলা বাজারে আমার ছেলেকে মারধর করে। জোত মালিকের সমিতির কিছু সংখ্যক সদস্যরা। লামা জোত মালিকের ব্যবসা যদি বৈধ হয় তাহলে লামা বন বিভাগ কেন তাদের ব্যবসা হস্তক্ষেপ করবে। তারা বিগত ১৫/১৬ বছর ধরে লামা ফরেন্ট অফিসকে সৈরাচারী শেখ হাসিনার মনোভাব নিয়ে লুটপাট ও অবৈধ ব্যবসা করতেন লামা জোত মালিক সমিতি। আমাকে ও আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে যেতেই নেতেত্ব দেন (হারুন, সেলিম, খোকন, বাবুল, শামসু, ফতেহ আলী আরো সমিতির অন্যান্য সদস্যরা, আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে যে অভিযোগ করেছে সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট আমি প্রশাসনের নিকট এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।