আজ মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

লামায় অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

বেলাল আহমদ,লামা : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৪ জানুয়ারী ২০২৩ ০৫:১০:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

বান্দরবানের লামায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শামশুল আলম ও তার পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শামশুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামীয় এবং ভোগদখলীয় জায়গায় সৃজিত বাগান কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। জবরদখল ও সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট, আদালত বান্দরবানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শামশুল আলম কর্তৃক পূর্বে দায়েরকৃত মামলা মিস সি.আর ১১/২০২১ এর রায়ে ২য় পক্ষ মোসলেহ উদ্দিন গং বাদীর নামীয় ও ভোগ দখলীয় ৩৯.২৩ একর জায়গায় প্রবেশ বারিত করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১৪৫ ধারা জারি করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও বন বিভাগের নিয়মনীতি কে উপেক্ষা করে জনৈক মিজানুর রহমান ও মোসলেহ উদ্দিন গং কর্তৃক জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে শামশুল আলম পরিবারের সৃজিত বাগান কেটে পাচার করার শুরু করে। নিরুপায় হয়ে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজন বিষয়টি সকলের দৃষ্টিতে আনতে ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। বুধবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় লামা রিপোর্টার্স ক্লাবের হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শামশুল আলম ছেলে আলী হায়দার মানিক। আরো উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শামশুল আলম স্ত্রী তফুরা খানম, ছেলে জুলফিকার হায়দার বাপ্পি ও মেয়ে লিলিফা ইয়াছমিন পারভীন। এসময় স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। আলী হায়দার মানিক আরো বলেন, আমার বাবা শামশুল আলম ও আমাদের পরিবারের সদস্যদের নামে ৩০৬নং ফাইতং মৌজায় ৩৯.২৩ একর জায়গা সরকারি তৈজিভূক্ত আছে। জায়গার হোল্ডিং সমূহ জি/২৮২, জি/৩১৬, ৫৮৬, জি/৩৭৪, জি/৩১০, জি/৩২৮, জি/২৭৪, জি/৩৬৬। ২০২০ইং সালের শেষের দিকে “সাইন্টিফিক প্লান্টেশন এন্ড মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড” নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে মোসলেহ উদ্দিন, পরিচালক, সাইন্টিফিক প্লান্টেশন এন্ড মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড, সাং- ভোলা, বর্তমান ঠিকানা- চিংদক মুরুং পাড়া, ০৯নং ওয়ার্ড, ৩০৬নং ফাইতং মৌজা গং ও মিজানুর রহমান (৪৫) পিতা- জসীম উদ্দিন জশু, সাং- লক্ষ্যারচর, চকরিয়া, কক্সবাজার, হেলাল উদ্দিন (৩৪) পিতা- কালু, সাং- কাঁকারা ইউনিয়ন, চকরিয়া, কক্সবাজার এর নেতৃত্বে একটি সংঙ্গবদ্ধ চক্র আমাদের বাগানের মূল্যবান গাছ জোর পূর্বক কেটে পাচার করতে থাকে। আদালত মামলাটি লামা থানার অফিসার ইনচার্জ কে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিলে তিনি মামলাটি তদন্ত করার জন্য ফাইতং পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ কে তদন্ত ভার প্রদান করেন। মিজানুর রহমান ও মোসলেহ উদ্দিন গং সংঘবদ্ধ চক্র বাগানের গাছ লুটপাটের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা জোরপূর্বক গাছ কর্তন করে বিভিন্ন ইট ভাটায় জ্বালানি হিসেবে সরবরাহ করছে। আমরা সরকারের নিকট অবৈধ ভাবে গাছ কাটা ও পাচার বন্ধের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আবেদন করছি।