রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভীরকাটায় বালুদস্যু জহিরের অবৈধ বালুর মহালের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে রামু উপজেলা প্রশাসন। এ সময় ১ শ্রমিক আটক করে ১ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। অভিযান খবর পেয়ে মহালের মালিক জহিরুদ্দিন পালিয়ে গা ঢাকা দেয়।
বৃহস্পবার ( ২৫ জানুয়ারি) দুপুরে এ অভিযান চালান রামু সহকারী কমিশনারের কার্যালয় । বিষয়টি
নিশ্চিত করেন অভিযান পরিচালনাকারী রামুর সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) নিরুপম বড়ুয়া।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কচ্ছপিয়ার অন্তত ১০ টি স্পটে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে তিনি অভিযানে নামেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেক স্পটে লোকজনকে পাওয়া যায়নি। ২টি স্পটে তিনি অভিযান করেন। একটি হাজির পাড়া গ্রামে। অপর টি মৌলভীর কাটায়। হাজির পাড়ায় টপ-সয়েল কেটে পাচারকালে ছৈয়দ করিম নামে এক মাটি ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।
আর মৌলভীর কাটায় অবৈধ বালু উত্তোলন কালে অভিযান চালান তিনি। এ সময় ১ জনকে ১ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। যার নাম আবদুশ শুক্কুর। সে চাকঢালা গ্রামের মোহাম্মদ ইউনুছ ছেলে।
মৌলভী কাটায় অভিযানের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,দীর্ঘ ২ বছর ধরে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন মৌলভীর কাটার রাবার ড্যাম সংলগ্ন বড়জামছড়ি খাল থেকে একাধিক মেশিন বসিয়ে বালু তুলছিলো স্থানীয় বখাটে জনৈক জহির উদ্দীন।
সে এতো বেপরোয়া যে কারও কথা সে কর্ণপাতও করে না। বেশ অভিযানও হয় তার বালুর মহালে । এ সময় প্রশাসন তাকে অসংখ্যবার সতর্ক করে দেন। কিন্তু সেই বালুদস্যু কারো কথাই শুনতে নারাজ। যেন "চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী"।
এ অবস্থায় বহস্পতিবার দুপুরে রামু উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান চালান। যাতে কিছুটা হলেো রক্ষা পেলো হাজারো কৃষকের কল্যানে ৫ কোটি ব্যায়ে নির্মিত রাবার ড্যাম টি।
এদিকে একাধিক গ্রামবাসীর অভিযোগ এ ধরণের অভিযানের পর জহির গং স্থানীয়
নিরীহ গ্রামবাসীকে হুমকি দেয়-তাদের গ্রামছাড়া করবে বলে। যা নিয়ে এ গ্রামে ভীতির সঞ্চার হয়। মানুষ আতংকে থাকে। তবে জহির উদ্দীনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।