পালিত হবে এই কার্যক্রম। এ উপলক্ষে উপজেলা মিলনায়তনে ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি জনগণের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জনগণের সম্মেলনের শুরুতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশাল কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল।
অনুষ্ঠানের সভাপতি রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা জনগণের সম্মেলনে উপজেলার নানাবিধ সমস্যা তোলে ধরেন। পাশাপাশি সেই সব সমস্যাগুলো নিয়ে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশকে কাজ করার অনুরোধ জানান।
এসময় রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.নোবেল কুমার বড়ুয়া, কৃষি কর্মকর্তা আবু মাসুদ ছিদ্দিকী, বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ভিশনের সিনিয়র ব্যবস্থাপক লোটাস চিসিম, এরিয়া অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক প্রণয় এস পালমা, প্রোগ্রাম কোয়ালিটি এন্ড রিসোর্স কো-অর্ডিনেটর রাকিব হোসেন, কমিউনিটি এনগেজমেন্ট
এন্ড পার্টনারিং কো-অর্ডিনেটর দেবাশীষ স্নাল, ফিল্ড ফাইন্যান্স কো-অর্ডিনেটর চয়ন চিসিম, এডুকেশন এন্ড চাইল্ড প্রোটেকশন স্পেশালিষ্ট কেরল সুশ্রী, ফিল্ড প্রোগ্রাম কোয়ালিটি ষ্পেশালিষ্ট মেহেরুন নেসা, স্পন্সরশীপ কর্মকর্তা জুনিয়েট ত্রিপুরা, বিএনকেএস এর নির্বাহী পরিচালক হ্লা সিং নু, প্রোগ্রাম ম্যানেজার শরৎ কুমার চাকমা, কমিউনিটি ডেভেলাপম্যান্ট অফিসার লাখিং রাখাইন, একাউন্টস এন্ড এডমিন অফিসার সীমা তংচঙ্গ্যা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য: ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে প্রলয়ংকারী সাইক্লোনে বিধ্বস্ত - বানভাসী মানুষের পাশে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে দাঁড়িয়েছিল ওয়ার্ল্ড ভিশন। হাতিয়া, মনপুরা, সন্দিপ ও ভোলাতে দুই লক্ষাধিক মার্কিন ডলারের জরুরী ত্রাণ সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে এই জনপদে পদচিহ্ন রাখে সংস্থাটি। ভোলার প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড়ের পরের বছর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের ভারত সরকারের পাশাপাশি খাদ্য সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ায় ওয়ার্ল্ড ভিশন। ১৯৭২ খিস্টাব্দ, যুদ্ধের পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আহব্বানে যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে আবার এগিয়ে আসে সংস্থাটি। ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল এবং সিলেটে দেশে ফেরা শরণার্থীদের জরুরী ত্রাণ দেওয়াসহ রাস্তাঘাট নির্মান, নলকূপ ও খাল খনন, স্কুল কলেজ ও ডিস্পেন্সারি নির্মাণের জন্য প্রায় দুই লক্ষ তেষট্টি হাজার মার্কিন ডলারের ত্রাণ সহায়তা প্রদান করে। একই বছর সংস্থাটি বর্তমান নেত্রকোনা জেলার বিরিশিরিতে এর কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। আর এর মাধ্যমে শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড ভিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা।