আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেনা বিএনপি। খাগড়াছড়িতে প্রার্থী নেই আঞ্চলিক দলের। ফলে পার্বত্য জেলা ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি আসনে জমে ওঠেনি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। জেলার বাহিরে উপজেলাগুলির মতো রামগড়ে নেই নির্বাচনী উত্তাপ। শুধুমাত্র নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী প্রচারণায় সরগরম আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে রামগড়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু হলেও এখনো আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়া বাকি প্রার্থীদের তৎপরতা চোখে পড়েনি। উপজেলার পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নৌকা প্রতিকের ব্যানার পোষ্টারে ছেয়ে গেছে সর্বত্র। এলাকায় সাঁটানো ব্যানার ও পোস্টারের প্রায় সবই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির। আ’লীগের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তিনি রামগড়ে ইতিমধ্যে গণসংযোগ, পথসভা-সমাবেশ শেষ করছেন। তার পক্ষে নেতার্মীরাও মাঠে নেমেছেন। কর্মীরা সকাল থেকে রাত অবধি নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছেন ও উন্নয়ন ও দেশের মানুষের শান্তির জন্য ৭ জানুয়ারি ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহবান জানাচ্ছেন। তবে অপর প্রার্থীদের তেমন প্রচারণা চোখে না পড়লেও কয়েক জায়গায় পোষ্টার দেখা গেছে।
খাগড়াছড়ি সংসদীয় ২৯৮ নং আসনে ৪জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। প্রার্থীরা হলেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী উশ্যেপ্রু মারমা (সোনালী আঁশ) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. মোস্তফা (আম প্রতীক)।
ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, আওয়ামী লীগের বাইরে এ জেলায় রাজনীতিতে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বিএনপি এবং আঞ্চলিক দলগুলো। এসব দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছেনা বলে মনে করেন সাধারণ ভোটাররা। ভোটারদের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম থাকায় তাঁদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াও কঠিন হবে বলেও অভিমত অনেক ভোটারের। অনেকটাই প্রতিদ্বন্ধিতাহীন এই নির্বাচনে হ্যাট্রিক জয়ের পথে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। অপেক্ষা শুধু ভোটের ফলাফল।
নির্বাচনকে সামনে রেখে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মমতা আফরিন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে প্রতিনিয়ত অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন করতে কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন।