বান্দরবানের বিশ্ববিদ্যাল ভবনের লিফটের মধ্যে এক কন্যা শিশুর লাশ ও দাড়োয়ান আটকে পড়ার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সিভিল পোশাকে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা প্রদান ও উগ্র আচরণের অভিযোগ উঠেছে বান্দরবান সদর থানার এসআই কারিমুজ্জামানের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১নভেম্বর) বিকালে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের ২নম্বর গেইটের গাড়ি পার্কিং এর সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বান্দরবান পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। সংবাদকর্মীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফটের মধ্যে একটি শিশু কন্যার লাশ পড়ে আছে এবং লাশের সাথেই আটকে আছে ভবনের নিরাপত্তা প্রহরী নুরুল আমিন। এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এসআই কারিমুজ্জামান ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া বেশ কয়েকজন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা প্রদান করেন এবং শতশত লোকজনের সামনে গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তিনি মোটর সাইকেল নিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বান্দরবানের সাধারন জনগন। তাদের মতে, পুলিশ আর সাংবাদিক যে জায়গায় একত্রে কাজ করে, তথ্য সংগ্রহ করে, সেখানে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাঁধা দিয়ে অত্যান্ত খারাপ কাজ করেছেন। এ বিষয়ে বান্দরবানের বাদশা, ইব্রাহিমসহ আরো অনেকে জানান, আজকে সকলের সামনে বান্দরবানের সাংবাদিকদের সাথে যে আচরন করেছে তা অতীতে আর ঘটেনি। তারা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এসআই কারিমুজ্জামানের শাস্তিরও দাবি জানান।