বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে বান্দরবান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ (৩৯) এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছে বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ইসলামিক মিশনের এক নারী সেলাই প্রশিক্ষক।
সোমবার (২৩মে ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জর্জ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর হোসেনকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবি দিপঙ্কর দাশ গুপ্ত। তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক (ডিডি) এর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে এক ভুক্তভোগী নারী। বিচারক তার মামলাটি আমলে নিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসিকে মেডিক্যাল পরীক্ষাসহ যাবতীয় প্রমানাদি সংগ্রহ করাসহ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানাযায়, বান্দরবান সুয়ালকের ইসলামিক মিশনের সেলাই প্রশিক্ষক ২০১৪সালে চাকুরীতে যোগদান করে। প্রথম দিকে ভালভাবে চাকুরী করলেও ২০১৯ সাথে মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ ডিডি হিসাবে যোগদান করার পর প্রথম দেখাতেই বাদীনিকে পছন্দ করে ফেলে এবং পরবর্তীতে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ২০১৯সালের জুলাই মাসের ৪তারিখ বিকাল ৫টার সময় বাদীনিকে অফিসে ডেকে নিয়ে যায় এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অফিসের ভেতরে থাকা নিজের শয়ন কক্ষে প্রথমবারেরমত ধর্ষণ করে। ২০২২সালের মার্চ মাসের ১০তারিখ পর্যন্ত ডেকে নিয়ে অসংখ্যাবার তাকে ধর্ষণ করে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। এজাহারে আরো বলা হয়,বিবাদী ০১৮১৮০৩০৯৯৯ নম্বরের ইমু থেকে অভিযোগকারীর ০১৮২৭৭০০৬৫ ও ০১৮৬৮২৪০০১৭নম্বরে কল দিয়ে আপত্তিকর ভিডিও প্রদর্শণ করতো। বর্তমানে তিনি বাদীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করে ও তা কাউকে জানালে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। তাই বাধ্য হয়েই আদালতে মামলা করে বাদী।
বিষয়টি জানতে বাদীর নম্বরে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ ছাড়া কোন কথা কথা বলতে রাজি নন। তবে অফিসের একটি রুমকে তিনি শয়ন কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করেন বলে স্বীকার করে বলেন, অফিসের ভেতর আমার শয়ন কক্ষে এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনাটি আমার মানসম্মাণ ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখনো আমি এ ধরনের কোন মামলার কপি হাতে পাইনি। তাই বিস্তারিত বলতে পারছিনা।