আজ মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বান্দরবানের প্রেন ম্রোর গিনেস রেকর্ড

অসীম রায় বান্দরবান : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৬ নভেম্বর ২০২২ ১০:০৮:০০ পূর্বাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

বান্দরবানের প্রেন চ্যং ম্রো, যিনি ফুটবলে মিনিটে ২০৮ বার পায়ের টোকা দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্বীকৃতি পেয়েছেন। ফেসবুকে লেখা দেখে চমকিত যে আমাদের প্রেন চ্যং ম্রো বিশ্বের সেরা। ফুটবলে এক মিনিটে সর্বোচ্চ ২০৮ বার পায়ের টোকা (টো ট্যাপ) দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন বান্দরবানের তরুণ প্রেন চ্যং ম্রো। গত বুধবার রেকর্ডস ভঙ্গের বিষয়টি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রেন চ্যং ম্রোকে জানানো হয়। বিষয়টি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্সেস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র প্রেন চ্যং ম্রোর বাড়ি বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের লামারপাড়ায়। তিনি বিদ্যালয়ের পড়াশোনা করার সময় থেকে প্রথমে জেলা ও পরে বিভাগীয় দলের হয়ে জাতীয় পর্যায়ে খেলেছেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ‘মোস্ট ফুটবল (সকার) টো ট্যাপস ইন ওয়ান মিনিট’ ক্যাটাগরিতে প্রেন চ্যং ম্রো আগের রেকর্ডকে চ্যালেঞ্জ করে গত ৩ মে আবেদন করেন। আগে এক মিনিটে সর্বোচ্চ ১৯৭ বার টোকা দেওয়া কুমিল্লার কনক কর্মকার রেকর্ড করেছিলেন। এক মাস পর গিনেস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ রেকর্ড ভঙ্গের প্রামাণ্য চিত্র উপস্থাপন করার তাগিদ দেয়। অবশ্য এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মুন্তাকিমুল ইসলাম নামের একজন এক মিনিটে ২০৭ বার টোকা দিতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁকেও ডিঙিয়েছেন প্রেন চ্যং ম্রো। আজ শনিবার সকালে প্রেন চ্যং ম্রো প্রথম আলোকে বলেন, গিনেস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের তাগিদপত্র পাওয়ার পর ২৪ এপ্রিল প্রমাণ হিসেবে ফুটবলে এক মিনিটে ২০৮ বার টোকা দেওয়ার ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। এরপর প্রয়োজনীয় প্রামাণ্য চিত্র এবং দলিলপত্র পাঠিয়ে দেন। প্রায় ছয় মাস নীরব থাকার পর বুধবার গিনেস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ তাঁকে ই-মেইলে সর্বোচ্চ টোকা প্রদানের রেকর্ড ভঙ্গকারী হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়টি জানিয়েছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এক মিনিটে সর্বোচ্চবার ফুটবলে পায়ের টোকা দেওয়ার সংখ্যাটি হচ্ছে ২০৮, যেটি অর্জন করেছেন প্রেন চ্যং ম্রো। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল তিনি এটি অর্জন করেন। প্রেন চ্যং ম্রো চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন। ঢাকার বিসিএল ও চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার লিগের হয়ে খেলে থাকেন প্রেন ম্রো। গিনেস ওয়ার্ল্ডে স্বীকৃতি পাওয়ায় অত্যন্ত অত্যন্ত খুশি তিনি। তাঁর মতে, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের মধ্যে এর আগে গিনেস ওয়ার্ল্ডে কেউ নাম লেখাতে পারেননি।