আবাদ যোগ্য জমি এক ইঞ্চিও খালি রাখা যাবে না- ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেছেন, , আবাদ যোগ্য জমি এক ইঞ্চিও খালি রাখা যাবেনা। অনাবাদি জমি আবাদ করতে হবে। সারাবছর খাদ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ২৮ শে নভেম্বর সোমবার বিকালে বান্দরবান সদর ইউনিয়নের ডুংকি পাড়ায় কৃষক মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি থেকে তিনি এই কথা বলেন। এর আগে চাষি মহাইনু মারমা ৮০ শতক ধানের জমিতে আধুনিক কৃষি যন্ত্র দিয়ে ধান কাটা উদ্বোধনসহ স্থানীয়দের মাঝে বীজ ও কম্বল বিতরণ করেন প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ- পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। তিনি বলেন, চিম্বুক পাহাড়ের তোয়ো ম্রো এবছর বঙ্গবন্ধু'র কৃষি পদক পেয়েছেন। এলাকার কৃষকেরা খাদ্য উৎপাদনে উৎসাহ পেয়েছেন। তোয়ো ম্রোর মতো অন্যান্য কৃষকদেরও ফসল-খাদ্য উৎপাদনে অগ্রণীভুমিকা রাখার আহবান জানান । এছাড়াও কৃষক খাদ্য উৎপাদনে কৃষিবিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে যত অবস্থান করবেন ততই কৃষক খাদ্য উৎপাদনে সফল হবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এসময় জেলা পরিষদ সদস্য ক্যসা প্রু, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস, সিমিট বাংলাদেশের ম্যানেজার হিরা লাল নাথ, বান্দরবান সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অংচাহ্লা মারমা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও এলাকার কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে দুটি গ্রামে দুঃস্থ পরিবারদের মাঝে ৬৫ টি কম্বল বিতরণ করেন প্রধান অতিথি। মংহাই নু মারমা"র জমিতে আধুনিক কৃষি যন্ত্র দিয়ে ধান কাটা উদ্বোধন, এলাকাবাসীর মধ্যে কম্বল বিতরণ ও মাঠ দিবসে কৃষকের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। কৃষক মংহাই নু মারমা জানান ৮০ শতক পাকা ধান শ্রমিক দিয়ে কাটলে আড়াই হাজার টাকা লাগে কিন্তু এই ধানকাটার মেশিন দিয়ে ধান কাটলে খরচ পড়ে মাত্র পাঁচ শত টাকা। সিমিট বাংলাদেশ কোম্পানীর ম্যানেজার হিরা লাল নাথ জানান সময় ও অর্থ বাচানোর জন্য এই ধান কাটার মেশিন কৃষকের সময়োপযোগী উপকারী, এই ধান কাটা মেশিনের মূল্যে এক লক্ষ পচানব্বই হাজার টাকা, কোন কৃষক কিনতে চাইলে জেলা কমষি অফিসের মাধ্যমে আবেদন করলে অর্ধেক মূল্যে কিনতে পারবে। এই মেশিন দিয়ে প্রতি ঘন্টায় আশি শতক জমির ধান কাটা যাবে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লিটন কান্তি দাশ জানান ব্রিধান ৪৯ খুব ভালো ফলন হয়েছে। অন্যান্য ধান যেখানে কানি প্রতি সর্বোচ্চ ষাট আড়ি ধান উৎপাদন হয় সেখানে ব্রি-৪৯ ধান কানি হিসেবে একশ আড়ি ধান উৎপাদন হয়েছে। ২০বর্গমিটার এর জমিতে উৎপাদন ফলন ১৫.৩ এক কেজি। আদ্রতা ২৯.৭ পার্সেন্ট, হেক্টর প্রতি ফলন ৬.২৩মেট্রিকটন ধান ( ছয় দশমিক দুইতিন মেট্রিকটন)। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তথ্য মতে, চলতি বছরে বান্দরবান জেলায় ১১ হাজার ২শত ৫৮ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। এসময় বান্দরবান সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অংচাহ্লা মারমা, সিমিট বাংলাদেশের ম্যানেজার হিরা লাল নাথ, জেলা পরিষদ সদস্য ক্যসা প্রু, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও এলাকার কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।