আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নির্বাচন কমিশনে কাগজ সরবরাহ শুরু করেছে কেপিএম

অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:২৭:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। যেকোন সময় তফসিল ঘোষণার তারিখও দেওয়া হতে পারে। এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার এর মাধ্যমে হবে ভোটগ্রহন। যার প্রেক্ষিতে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিলস থেকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ব্যালট পেপার ছাপাতে নির্বাচন কমিশন ১ হাজার ৬শ মেট্রিক টন কাগজ সংগ্রহ করার সিন্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে কেপিএম ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চাহিদানুযায়ী কাগজ নির্বাচন কমিশনকে সরবরাহ করাও শুরু করে দিয়েছে। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) কেপিএম সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ধাপে ধাপে গত অক্টোবর মাস থেকে বেশ কয়েক ট্রাক কাগজ নির্বাচন কমিশন অফিসে সরবারহ করা শুরু  হয়েছে এবং মঙ্গলবার আরো ৭টি ট্রাকে কাগজ সরবারহ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী পেপার মিলস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আনিসুজ্জামান জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কর্ণফুলী পেপার মিলস থেকে সাদা, লাল ও সবুজ রঙের মোট ১৬শ মেট্রিক টন কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এসব কাগজের মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। তাই নির্বাচন কমিশনকে যথাসময়ে কাগজ সরবরাহ করার জন্য কেপিএম কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কাগজ উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল হিসেবে বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় মন্ড ও সরঞ্জাম নিয়ে আসা হয়েছে। 

 

এদিকে কর্ণফুলী পেপার মিলস সূত্রে আরো জানা যায়, কেপিএম দীর্ঘ ৭৫ বছরের পুরাতন কারখানা হওয়া সত্ত্বেও অদ্যবদি গুনগত মান অক্ষুন্ন রেখে ভালো মানের কাগজ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকার ফলে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে কাগজ সংগ্রহ করছে। তবে নির্বাচন কমিশনকে ধাপে ধাপে এসব ব্যালটের কাগজ সরবারহ করবে কেপিএম কতৃপক্ষ। বিশেষ করে তফসিল ঘোষণা হবার পর সিডিউল অনুযায়ী যারা প্রার্থী হবেন এবং প্রার্থীরা কে কোন প্রতীক বরাদ্দ পাবেন তার উপর নির্ভর করে ব্যালট পেপার ছাপানো হবে। কাজেই তফসিল ঘোষণার পর থেকেই পুরোদমে নির্বাচন কমিশনকে কাগজ সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

 

কেপিএমের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আর মাহমুদ বলেন, নানাবিধ প্রতিকূলতা থাকা সত্বেও সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারি এবং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনকে চাহিদানুযায়ী কাগজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আশা করা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কাগজ সরবরাহ করার সম্ভব হবে।

 

এদিকে কেপিএম সিবিএ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে ১৬শ মেট্রিক টন কাগজের চাহিদা দেওয়ায় কারখানার শ্রমিক কর্মচারি ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আনন্দ ফিরে এসেছে। এইভাবে যদি কেপিএম থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান কাগজ ক্রয় করে তবে কেপিএম আবার ঘুরে দাঁড়াবে।