নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু এলাকার ৩৪/৩৫ সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে সোমবার ২২ জানুয়ারি ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পযর্ন্ত মোট ৭ঘন্টা পযর্ন্ত মিয়ানমারের সামান্য ভিতর থেকে হাজার হাজার রাউন্ড গোলাগুলির শব্দ এসে কাঁপিয়ে তুলে দুই সীমান্ত পিলার এলাকা।ঘুমধুম এলাকার পার্বত্য নিউজের প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান জানান,ঐ এলাকার মানুষের ঘুম ভেঙেছে মিয়ানমার অভ্যন্তরের চলা গোলাগুলির তুমুল শব্দে,তার ধারণা উক্ত গোলাগুলি সংগঠিত হয়েছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থাকা দুই বিদ্রোহী গ্রুপের মাঝে। তমব্রু ৩নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আলম বলেন, উক্ত গোলাগুলির প্রবল আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সীমান্তের কাছাকাছি থাকা চাকমা পাড়ার চাকমা পল্লী ওই এলাকার উপর্যুপরি গোলাগুলির শব্দে আসা শুরু হলে আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই পাড়া ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় চলে যান,তিনি আরো জানান এলাকার লোকজন মাধ্যমে তিনি শুনেছেন মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে গোলাগুলির অনেকগুলো বিস্ফোরিত গুলি চাকমা পাড়ার ঘরের চালের উপরে উঠানে এবং চাষকৃত জমিতে এসে পড়েছে বলে জানতে পেরেছেন।তমব্রু এলাকার তরুণ ব্যাবসায়ী সরোয়ার জানান, ভোরের সময় এমন গোলাগুলির শব্দ তাদের এলাকাতে এসে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং দুইটি গুলির খোসা মিয়ানমার থেকে উড়ে এসে তার ঘরের টিনের চালে এবং ওঠানে এসে পড়ে। তমব্রু এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ গফুর জানান,মিয়ানমারের ভিতরে থেকে আসা বড় ছোট গোলাবারুদ বিস্ফোরণের বিকট শব্দ বাংলাদেশের ভিতরে এলে সব চেয়ে বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন কোমলমতি শিশুরা,বড়রা এক প্রকার অভ্যস্ত হয়ে হয়ে পড়েছেন বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে শুনতে। এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল সংযোগ পাওয়া যায়নি।