নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের প্রায় ৫০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে ঘুমধুম থেকে শুরু করে দৌছড়ি ইউনিয়নের পাইনছড়ি পযর্ন্ত। এই এরিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশী স্পর্শকাতর সীমান্ত পিলার হিসাবে স্থানীয় সংবাদ কর্মিদের মতে ঘুমধুমের তমব্রুএলাকার ৩৪,৩৫ এর দুই পিলারের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে মিয়ানমারের ভিতর থেকে সবচেয়ে বেশী গোলাবারুদ বিস্ফোরণের বিকট শব্দ বাংলাদেশের ভিতরে এসেছে এবং গভীর রাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ বিমান ও ফাইটার হেলিকপ্টার সীমান্ত এরিয়ার কাছাকাছি এসে তাদের বিদ্রোহী সংগঠনের অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক গোলাবারুদ বিস্ফোরণ করে এতে বাংলাদেশের ভিতরে বসবাসরত মানুষের মাঝে ব্যাপক আতংক সৃষ্টি করেন মিয়ানমার বাহিনী। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে উক্ত পিলার দিয়ে একটি বিস্ফোরণের শব্দও তমব্রু এলাকাতে আসেনি বলে জানান সীমান্ত এলাকার অনেক ব্যাক্তি।এতে ঐ এলাকার বসবাসকারীদের মাঝে মোটামুটি ভাবে আতঙ্ক কেটে ফিরতে শুরু করেছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। তমব্রু এলাকার,মোঃ ফয়েজ,মোঃ রহমান বলেন,আমরা লোকমুখে শুনেছি ৩৪,৩৫ সীমান্তের মিয়ানমারের ভিতরে থাকা স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী সংগঠন আরকান আর্মির জনবল এখন ঐ এলাকায় নেই,তারা নাকি অন্যত্র সরে গেছেন তাই বিভিন্ন প্রকার গোলাবারুদ ফোটার বিকট শব্দ আর শুনা যাচ্ছে না। তব্রুর ব্যাবসায়ী সরোয়ার বলেন,এখন পুরো দমে শান্তি ফিরতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের মাঝে,এতে কর্মজীবী মানুষের কর্মতৎপরতাও আগের মত স্বাভাবিক হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আলম বলেন,গত তিন মাস পযর্ন্ত মানুষজন ভয়ে ছিল, মিয়ানমারের কিছু অভ্যন্তর থেকে তুমুল শব্দের মটার শেল ও গুলির বিস্ফোরিত আওয়াজ এখন বন্ধ হওয়ার ফলে চিন্তা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক হচ্ছেন তার এলাকার বর্ডার সাইটের মানুষ।